অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন
- ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে ভুট্টা, ইরি-বোরো ও তামাকের ভরা মৌসুমেও রাসায়নিক সারের কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে চড়ামূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা নির্দিষ্ট মূল্যের চেয়ে চড়াদামে নিয়ে আসায় বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একটি জাতীয় দৈনিকের লালমনিরহাট প্রতিনিধির প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ভুট্টা সাড়ে ১৩ হাজার হেক্টর, তামাক সাড়ে চার হাজার ও ইরি-বোরো চার হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। নভেম্বর-ডিসেম্বর ভুট্টা চাষাবাদের পিকটাইম। আমন ধান ওঠার পর কৃষকরা জমিতে ভুট্টা ও তামাক চাষে ব্যস্ত। ভুট্টা ও তামাকের পর ওই জমিতে ইরি-বোরো চাষ করা হবে। একসাথে এ তিনটি মৌসুমি ফসলের পিকটাইম চলায় প্রতি বছর এ সময়ে সারের ব্যাপক চাহিদা দেখা দেয়।
সূত্র আরো জানায়, গত অক্টোবর মাসে টিএসপি ৭৫০ টন চাহিদার বিপরীতে ২৮০ টন, ডিএপি ৭০০ টনের বিপরীতে ৫০০ টন, পটাশ (এমওপি) এক হাজার টনের বিপরীতে ২০০ টন সরবরাহ করা হয়। চলতি নভেম্বর টিএসপি ৬৫০ টনের বিপরীতে ৩৩৯ টন, ডিএপি ৬০০ টনের বিপরীতে ৬০০ টন এবং পটাশ ৯০০ টনের বিপরীতে ৪০৯ টন সরবরাহ করা হয়।
বাজার অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সারের পর্যাপ্ত মজুদ থাকলেও দামচড়া। এক বস্তা (৫০ কেজি) টিএসপি সরকার কর্তৃক নির্ধারিত এক হাজার ৩৫০ টাকার স্থলে এক হাজার ৮০০ টাকা, ডিএপি এক হাজার ৫০ টাকার স্থলে এক হাজার ৩৫০ টাকা এবং পটাশ এক হাজার টাকার বদলে এক হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ী সূত্র থেকে জানা যায়, নওয়াপাড়া, নগরবাড়ি, বাঘাবাড়ি, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে সারের দুষ্টচক্র গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট সারের পুরো বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে, তারা বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে।
স্থানীয় কৃষি অফিস জানায়, গত অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত দুই হাজার ৭৫০ টন টিএসপি, আড়াই হাজার টন ডিএপি এবং চার হাজার ৩০০ টন পটাশের চাহিদা দেয়া হলেও বাস্তবে আরো অনেক বেশি প্রয়োজন। তাই দ্রুত সারের চাহিদা সরকারকে পূরণ করতে হবে।
পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, আমরা এ ব্যাপারে বাজার মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করেছি। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহে স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বদ্ধপরিকর। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও বলেন, জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেছি যাতে ডিসেম্বর মাসের বরাদ্দকৃত সার দ্রুত আনা যায়।
সার কৃষকের জন্য কত প্রয়োজনীয় তা খুলে বলার প্রয়োজন নেই। সারের কৃত্রিম সঙ্কট শস্য উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তবে এ কথা সত্যি যেকোনো সৎ ব্যবসায়ী কখনো কোনো পণ্যের কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করেন না। অন্যায় মুনাফার লোভে অসৎ ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে থাকে। তাদের দমনে কঠোর হতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা