সততা ও নিষ্ঠা কাম্য
- ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) শপথ নিচ্ছেন আজ দুপুরে। গত ২১ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এস এম মো: নাসির উদ্দীন। চারজন নির্বাচন কমিশনার হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবুল ফজল মো: সানাউল্লাহ।
৫ আগস্ট স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাস পর ৫ সেপ্টেম্বর একযোগে পদত্যাগ করেন কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নতুন কমিশন গঠনের জন্য রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও ব্যক্তির কাছ থেকে নাম আহ্বান করে। তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ১০ জনের নাম সুপারিশ করে সার্চ কমিটি। তাদের মধ্যে সরকার পাঁচজনকে নিয়োগ দেয়। রাষ্ট্রপতি তাতে অনুমোদন দেন। এই কমিশনের অধীনেই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ পরবর্তী পাঁচ বছরের সব নির্বাচন হবে। বলা হচ্ছে, নবনিযুক্ত সিইসির নাম বিএনপির তালিকায় ছিল।
নবগঠিত নির্বাচন কমিশনের ওপর বিএনপি, জামায়াত, বাম দলসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দলই আস্থাশীল। দলের নেতারা বলেছেন, কমিশনকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে, আওয়ামী লীগের ধ্বংস করে যাওয়া নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে। নতুন কমিশনের সামনে মূলত এটুকুই চ্যালেঞ্জ। আমাদের বিশ্বাস, কমিশনের সামনে একমাত্র চ্যালেঞ্জ হলো সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব সম্পাদন করার। এর বাইরে তাদের কোনো চ্যালেঞ্জ নেই। কারণ কমিশনের ক্ষমতা ও এখতিয়ারবিষয়ক আইন যথেষ্ট জোরালো। কিন্তু আওয়ামী লীগের মতো একটি সর্বময় কর্তৃত্ববাদী দল ক্ষমতায় বা বিরোধী দল যেখানেই থাকুক, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ইসিকে যে চ্যালেঞ্জ নিতে হয় তা নেয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কোনো ইসিই দেখাতে পারেনি। গত একাধিক কমিশন জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষার পরিবর্তে আওয়ামী লীগের কথামতো নির্বাচন নিয়ে তামাশা করেছে। নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
কোনো সিইসি বা ইসিরা যদি জীবনের ঝুঁকি নিত তবুও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা সম্ভব হতো না। কারণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক দল, সুশীলসমাজ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ যেসব সহায়ক সংস্থার সমর্থনের দরকার হয়। আওয়ামী শাসনে তার সবই একমাত্র আওয়ামী লীগের চাওয়া-পাওয়া পূরণে ব্যস্ত ছিল। কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষেই তা রোধের উপায় ছিল না। ২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী ১৭ বছর আমরা এই দৃশ্যই দেখে এসেছি।
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো নির্বাচনী অভিলাষ নেই। আওয়ামী লীগ স্বরূপে ময়দানে নেই। রাজনৈতিক দলগুলোও ইসির কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করবে বলে মনে হয় না, যদি ইসি যথাযথভাবে সবার জন্য সমান ক্ষেত্র তৈরি করে।
সুতরাং নতুন ইসির সামনে এখন একটিই চ্যালেঞ্জ। শুধু সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীলতার সাথে নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা দেখানো। পরিস্থিতি এর অনুকূলে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা