আস্থার প্রতীক সশস্ত্রবাহিনী
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আমাদের সশস্ত্রবাহিনী যে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ তার প্রমাণ বারবার দেশবাসীর সামনে সমুজ্জ্বল হয়ে ফিরে এসেছে। ভবিষ্যতেও এর ব্যত্যয় ঘটবে না, এটি আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঠিক সময়ে ঠিক কাজটি করেছে সশস্ত্রবাহিনী। বিশেষ করে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। এখনো দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারা দেশে মাঠপর্যায়ে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তারা। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত মুহূর্তে সেনাবাহিনী জনগণের আবেগ-উপলব্ধি এবং চাওয়া-পাওয়াকে ধারণ করে তাদের দায়িত্ব পালন করেন। এতে শেখ হাসিনার দুঃশাসন থেকে জনগণের মুক্তি ত্বরান্বিত হয়।
বিগত সাড়ে ১৫ বছরে যখন দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হয়; তখন ছাত্র-জনতা ফ্যাসিস্ট হাসিনার কবল থেকে দেশকে রক্ষায় জুলাই-আগস্টে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন, ঠিক তখনই ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে মরিয়া শেখ হাসিনা বিজিবি, পুলিশ, র্যা ব ও পেটোয়া বাহিনী দিয়ে পাখির মতো গুলি করে মানুষ হত্যায় মেতে ওঠেন। দেশের চরম এই অরাজক অবস্থায় সশস্ত্রবাহিনী যোগ্যতার সাথে সবকিছু মোকাবেলা করেছে। ফলে জাতি এক অনিবার্য বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে। সঙ্গতকারণে এ কথা বলা অত্যুক্তি হবে না যে, আমাদের সশস্ত্রবাহিনী ফের সব দল-মত-পথের মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হয়ে জাতির সামনে স্বমহিমায় হাজির হয়েছে। সশস্ত্রবাহিনীর এমন ভূমিকায় তাদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের সাড়ে তিন মাস পর গত বৃহস্পতিবার এবারের সশস্ত্রবাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ঢাকা সেনাকুঞ্জে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। দেশপ্রেমিক বিশিষ্টজনদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এটি। বিশেষ করে এবারের সশস্ত্রবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপস্থিতি ছিল সবার দৃষ্টিতে। তার সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা কুশলবিনিময় করেন।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী হওয়ার পরও গত ১২ বছরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়া সেনাকুঞ্জের সশস্ত্রবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার সুযোগ পাননি। এবার তার উপস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস বলেন, ‘এক যুগ ধরে তিনি (খালেদা জিয়া) এই মহাসম্মেলনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাননি। আজ সুযোগ পেয়েছেন, আমরা সবাই আনন্দিত ও গর্বিত যে আমরা এই সুযোগ দিতে পেরেছি আপনাকে।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমানের উপস্থিতিও রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। বিগত দেড় দশকে দলটির নেতাকর্মীকে হাসিনা জমানায় সইতে হয়েছে অমানবিক নির্যাতন। সেই তারাও এখন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে সম্মানিত হচ্ছেন। রাষ্ট্র তাদের প্রাপ্য পাওনা ও সম্মান দিতে শুরু করেছে। এটি আমাদের জাতীয় জীবনে শুভ লক্ষণ।
বাস্তবতা হলো- শেখ হাসিনার অপশাসন থেকে মুক্ত হওয়ার পর দেশে সুস্থ ধারার রাজনৈতিক আবহ তৈরি হয়েছে। তার প্রতিফলন ঘটেছে সশস্ত্রবাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে। সশস্ত্রবাহিনী ফের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে সবার কাছে। এ প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা পুরো জাতির অন্তর্গত উচ্চারণ। তিনি বলেছেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং তৎপরবর্তী সময়ে দেশের ক্রান্তিলগ্নে সশস্ত্রবাহিনী বরাবরের মতো মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। দেশের ছাত্র-জনতার পক্ষে দাঁড়িয়ে সশস্ত্রবাহিনী আবারো মানুষের কাছে আস্থার প্রতীক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা