২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
খাদ্য মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা

সাধারণের কষ্ট লাঘব করুন

-

অনিয়ম-দুর্নীতি, অবাধ লুটপাট, ব্যাংক খাত ধ্বংস এবং বিদেশে অর্থ পাচার করে পতিত শেখ হাসিনা সরকার দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়েছে। মাফিয়াতন্ত্রের মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশের যে অবস্থা করে রেখে গেছেন; তার সাথে শুধু য্দ্ধুবিধ্বস্ত কোনো দেশের তুলনা করা চলে।
ভঙ্গুর এই অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে গতি আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু করা এবং ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে কার্যকর কিছু পদক্ষেপ নেয়া উল্লেখযোগ্য। আশাব্যঞ্জক হলো- জুলাইয়ের নেতিবাচক অবস্থান থেকে অক্টোবর নাগাদ রাজস্ব আদায়ে পৌনে ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
এত কিছু ভালো উদ্যোগ নেয়ার পরও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম নাগালে আনতে না পারা জনজীবনে কষ্ট বাড়িয়ে দিচ্ছে। খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি আরো ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘব দূরের কথা উল্টো দিন দিন বাড়ছে। অথচ আগস্ট বিপ্লবের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় করে জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনবে, এটিই ছিল জনপ্রত্যাশার অগ্রভাগে। কিন্তু নিত্যপণ্য বিশেষ করে খাদ্যদ্রব্যের দাম আরো বেড়ে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে না।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য, অক্টোবরে এসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আবারো ঊর্ধ্বমুখী। খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে এখন ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে। যেখানে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে এখন ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ। ভোক্তাদের ১০০ টাকার খাদ্যপণ্য কিনতে হচ্ছে ১১২ দশমিক ৬৬ টাকায়।
বিবিএস বলছে, অক্টোবরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। যেখানে গত বছর একই মাসে ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার অক্টোবরে কমে এসেছে ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। যেখানে সেপ্টেম্বরে ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ।
সরকারি সংস্থাটির প্রকাশিত তথ্য মতে- চাল, ডাল, তেল, লবণ, মাছ, গোশত, সবজি, মসলাজাতীয় পণ্যের দাম বাড়ায় খাদ্যে মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। অক্টোবর মাসে শহরাঞ্চলে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। একই মাসে গ্রামাঞ্চলে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার সেপ্টেম্বরের সোয়া ১০ শতাংশ থেকে বেড়ে অক্টোবরে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশে পৌঁছেছে। এতে করে জীবনযাত্রার ব্যয় আরো বেড়েছে। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য মতে, পয়েন্ট টু পয়েন্টের ভিত্তিতে অক্টোবরে মজুরি সূচক বৃদ্ধির হার মাত্র ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। দাম বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে গিয়ে বেকায়দায় পড়ছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। বিবিএসের সর্বশেষ তথ্য থেকে অনায়াসে এ কথা বলা যায়, শহরের চেয়ে বেশি কষ্টে আছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী।
আমরা মনে করি, বর্তমান সরকারের নিত্যপণ্যের দাম সাধারণের কাছে সহনীয় পর্যায়ে আনতে বাজার ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হওয়ার বিকল্প নেই। বাজারে প্রতিনিয়ত তীক্ষè নজরদারি এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
পারমাণবিক বোমা বিষয়ে ইরানের অসহযোগিতার অভিযোগ পশ্চিমা বিশ্বের, আইএইএ’র ভিন্নমত ‘সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে ছাত্রদল’ ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ আন্দোলনে সাধারণের পক্ষে দাঁড়িয়ে আস্থার প্রতীক হয়েছে সেনাবাহিনী : ড. ইউনূস ব্রিটেনের সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী প্রেসকট মারা গেছেন ১৪ বছর পর ইবি ছাত্রশিবিরের নবীনবরণ দায়িত্ব নিলেন নতুন আইজিপি বাহারুল আলম উখিয়ার সীমান্তে ১ লাখ পিস ইয়াবা উদ্ধার আমেরিকার পর এবার ব্রিটিশ অস্ত্রে রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলা ইউক্রেনের চুয়াডাঙ্গায় ভারতীয় মাদকসহ স্বামী-স্ত্রী গ্রেফতার সেনাকুঞ্জে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া

সকল