সরকার কা মাল দরিয়া মে ঢাল
- ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে বরমী-মাওনা-কাওরাইদ সড়কের বরমী বাজার এলাকায় একটি সেতু নির্মাণের এক বছর পরও অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। প্রায় ১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুর একপাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এটি মানুষের কাজে আসছে না।
একটি সহযোগী দৈনিকের গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, স্থানীয়রা বাঁশের মাচা আর বালুর বস্তা ফেলে সেতুতে ওঠানামা করেন। স্থানীয়রা জানান, জমি অধিগ্রহণ-জটিলতায় সেতুর এক পাড়ের পাইটালবাড়ী এলাকায় সংযোগ সড়ক হয়নি।
বরমী বাজারের পাশে মাটিকাটা নদীর ওপর নির্মিত এই সেতুর উত্তর পাশে বাজারের কাঠমহল। দক্ষিণ পাশে পাইটালবাড়ী এলাকা। পাইটালবাড়ীর অংশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বরমী ৪০০ বছরের পুরনো বাজার। এর আশপাশের চারটি উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষ এ বাজারে কেনাকাটা করেন। বুধবার সাপ্তাহিক হাটবার। এদিন মানুষের দুর্ভোগ বাড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সেতু নির্মাণ করা হলেও দুই পাড়ের মানুষের দুর্ভোগ রয়েই গেছে।
জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ বিভাগ ১৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সেতুটি নির্মাণ করে। এর দৈর্ঘ্য ৯৭ দশমিক ৩৪ মিটার। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ উদ্বোধন করা হয়। দুই বছর ১০ মাসের মাথায় নির্মাণকাজ শেষ হয়। মেসার্স আরপি কনস্ট্রাকশন ও এম এ ইঞ্জিনিয়ারিং নামে দু’টি প্রতিষ্ঠান সেতুটি নির্মাণ করে। সেতুর জন্য এক পাশে পাইটালবাড়ী এলাকায় এক একর ৩৭ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অধিগ্রহণ করা ওই জমিতে ১৭টি পরিবার বসবাস করছে।
পাইটালবাড়ী এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ এক বছরেরও বেশি সময় আগে শেষ হয়েছে। কিন্তু পাইটালবাড়ী এলাকায় সড়ক তৈরি করা হয়নি। জমি অধিগ্রহণ-জটিলতা নিরসনে বারবার উদ্যোগ নিলেও নানা কারণে জটিলতা রয়ে গেছে। জমির মালিকদের টাকা না দিয়ে সড়ক নির্মাণ করতে পারছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অন্য দিকে অধিগ্রহণ করা জমির মালিকরা টাকার জন্য সওজ অফিসে ঘুরছেন। তারা টাকা না পেলে নিজেদের জমি ছাড়বেন না।
তাদের ক্ষোভ, সেতু নির্মাণের আগে জমি অধিগ্রহণ করা হলেও এখনো কোনো পরিবারই ক্ষতিপূরণের টাকা পায়নি।
বরমী বাজার বণিক সমিতির একজন সদস্য বলেন, সামান্য কারণে গুরুত্বপূর্ণ সেতু ব্যবহার করতে না পারা খুবই দুঃখজনক। সেতুর সোলার বাতিগুলো সন্ধ্যা হলেই জ্বলে ওঠে। শুধু সেতুটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
অধিগ্রহণ করা জমির মালিক বলেন, ‘আগে ভুল করে জমিটি অর্পিত হিসেবে ঘোষণা করে ভূমি অফিস। এটি ভূমি অফিসের ভুল। জমির সব কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। সরকারি লোকজনের ভুলের আমরা খেসারত দিচ্ছি।’ তিনি বলেন, ‘অধিগ্রহণের টাকা না পেলে ভূমি মালিকরা তাদের ভূমি ছেড়ে যাবেন না।’ গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে প্রয়োজনীয় সব টাকা ভূমি অধিগ্রহণ শাখাকে দেয়া হয়েছে।’
গরিব দেশের জন্য ১৯ কোটি টাকা কম নয়। সরকারি টাকা হওয়ায় কেউ এ দিকে খেয়াল করছেন না। আমরা আশা করি, অবিলম্বে এ ব্যাপারে বিহিত করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা