আর কত দুর্ঘটনা হতে হবে?
- ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
একটি সহযোগী দৈনিকের চট্টগ্রাম প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ চট্টগ্রামের বড় একটি অংশের বাসিন্দাদের যাতায়াতের মাধ্যম কালুরঘাট সেতু। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংস্কারের উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। কাজ চলাকালে নদী পারাপারে বিকল্প হিসেবে চালু করা হয় ফেরি। বন্ধ সেতু ব্যবহার এবং ফেরি পারাপারের সময় বারবার ঘটছে দুর্ঘটনা। ফেরিতে অসতর্কতা, রেলিং না থাকা এবং রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতু ব্যবহার দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ মনে করছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদ সদস্যসচিব মোস্তফা নঈম বলেন, রেলিং না থাকা এবং যাত্রীদের অসতর্কতায় ফেরিতে দুর্ঘটনা ঘটে। সেতুতে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী চালকদের অসচেতনতা। সবাইকে সতর্কতার সাথে যাতায়াত করতে হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া বলেন, সেতুর কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি। এরই মধ্যে রাতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু গাড়ি চলছে। চালকরা গোপনে সেতুতে উঠে গাড়ি দ্রুতগতিতে চালায়। ফলে দুর্ঘটনা ঘটছে। সেতুতে আলো জ্বালানোর কাজ চলছে। বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলও আলো বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছে। সেতুর ওপর টেকসই রেলিং করা হয়েছে। আলোকায়ন ও অন্যান্য কাজ শেষ হলে দুর্ঘটনা কমবে। তাছাড়া এক সাথে অনেক গাড়ি চললে তখন গতিও কম থাকবে। জানা যায়, কয়েক দিন আগে ফেরি দিয়ে কর্ণফুলী নদী পার হওয়ার সময় যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয়রা চালকসহ একই পরিবারের চার যাত্রীকে উদ্ধার করতে পারলেও পানিতে তলিয়ে গেছে অটোরিকশাটি। গত ৮ সেপ্টেম্বর কালুরঘাট সেতুতে রেলিং ভেঙে চাঁদের গাড়ি নদীতে পড়ে। চালক ও হেলপার পানিতে পড়ে যান। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করলেও গাড়িটি পাওয়া যায়নি। ২৯ এপ্রিল সেতুর ফেরিসংলগ্ন বেইলি ব্রিজে টেম্পোর ধাক্কায় মারা যান ফাতেমা তুজ জোহরা (১৮) নামে এক কলেজছাত্রী। টেম্পোটি বেইলি ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে ওই শিক্ষার্থীকে চাপা দেয়। ২২ জুন সন্ধ্যায় কর্ণফুলীতে নদীতে ফেরির সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়, নৌকাসহ পানিতে পড়ে যান দু’জন। কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যরে স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালে শুরু হয় যান চলাচল। আগে দুই বার সেতুটি সংস্কার করা হয়েছিল। সব শেষ মেরামতের জন্য গত বছরের ১ আগস্ট থেকে তিন মাসের জন্য যান চলাচল বন্ধ করা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে সংস্কার শেষ হয়নি। কাজ শেষে চলতি মাসের শেষদিকে সেতুটি খুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
কালুরঘাট দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সেতু। এ সেতুতে আর দুর্ঘটনা ঘটতে দেয়া যায় না। কারণ তাহলে ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে যাবে। অসতর্কতা, রেলিং না থাকা ইত্যাদি কোনো কিছুকেই মেনে যায় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা