আরো বেশি সক্রিয় হোন
- ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে মুখ্য নিয়ামক শক্তি ছিল দেশের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের অকাতরে জীবন বিলিয়ে দেয়ার মাধ্যমে দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। মানুষ ফিরে পেয়েছে বাক-স্বাধীনতা।
৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় তা ছিল আকারে অনেক ছোট। দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর ছোট এই সরকার নানা প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। সরকার সেগুলো মোকাবেলাও করেছে। এখনো করছে। একই সাথে এই সরকার খুব অল্প সময়ে বেশ কিছু প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।
রাষ্ট্র সংস্কারে ছয়টি কমিশন গঠন, আর্থিক খাতে অব্যবস্থাপনা দূরীকরণ, আইন ও মানবাধিকার-সংক্রান্ত বিষয়ে নানা উদ্যোগ জনগণকে আশাবাদী করেছে। কিন্তু যে শিক্ষার্থীদের আত্মত্যাগে এলো দ্বিতীয় স্বাধীনতা সেই শিক্ষার্থীদের জন্য জরুরি বিষয়গুলোতেই সরকার যেন মন্থর গতিতে যাচ্ছে।
একটি সহযোগী দৈনিকের খবর অনুযায়ী, দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১০০ দিনের মতো শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। জুলাইয়ের শুরুতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়। আওয়ামী সরকারের পতনের পর এখনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরোপুরি ক্লাস ও পরীক্ষা চালু করা যায়নি।
প্রথম দিকে একের পর স্বৈরাচারের দোসর ভিসিদের একের পর এক পদত্যাগের কারণে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দেয়। এরপর অনেক ভিসি নিয়োগ দেয়া হলেও এখনো শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসেনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা এ্ মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনও (ইউজিসি) কাজের গতি ফিরে পায়নি। গণ অভ্যুত্থানের দুই মাস কেটে গেলেও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক পদ ফাঁকা রয়েছে। ইউজিসির চেয়ারম্যান ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, সব সদস্য যোগদান না করায় কাজে গতি আসছে না।
অন্য দিকে, সরকার পতনের দুই মাস পর সরকারি চাকরি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (বিপিএসসি) থেকে পদত্যাগ করেছেন আওয়ামী সরকারের নিয়োগকৃত চেয়ারম্যানসহ ১২ সদস্য। সরকারের উচিত ছিল গুরুত্বপূর্ণ ওই প্রতিষ্ঠানটির দিকে আরো আগেই নজর দেয়া। নতুন করে চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ দেয়ার মাধ্যমে পিএসসিকে সচল করে নিয়োগ কার্যক্রমগুলো এগিয়ে নেয়া। এখন সেটি শুরু করা দরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বেসামরিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৩৩৩টি পদ খালি রয়েছে। এসব শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ দেয়া জরুরি।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষাজীবন শেষে আর হলে থাকছেন না। অতীতের মতো বছরের পর বছর সিট ধরে রাখার সুযোগ নিচ্ছেন না। নতুনদের সিট ছেড়ে দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। তবে, মনে রাখতে হবে, হলের জীবন শেষে দীর্ঘদিন বেকার থাকলে শিক্ষার্থীদের মনে কষ্ট আর ক্ষোভের জন্ম নেয়া অস্বাভাবিক নয়। এ বিষয়ে সরকারকে সজাগ থাকতে হবে।
সরকারকে শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের বিষয়গুলোতে আরো বেশি নজর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষা ও জনপ্রশাসন উপদেষ্টাকে আরো সক্রিয় হওয়া দরকার। সব শিক্ষাঙ্গনে স্থবিরতা দূর করতে হবে। সেই সাথে পিএসসিকেও অল্প সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা