২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসন

সমন্বিত উদ্যোগের অভাব

-

সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় ঢাকা। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটির অনেক এলাকা। সেখানকার খানাখন্দে ভরা প্রধান সড়ক ও অলিগলিতে যুক্ত হয়েছে পয়োবর্জ্য-মিশ্রিত পানি। ফলে ওই সব এলাকা এখন নোঙরা পানিতে সয়লাব। এতে এক অসহনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি ঢাকাবাসী। বিশেষ করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) বাঁধের অভ্যন্তরের প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে বাসাবাড়ি, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কলকারখানা ডুবে যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছেন ২০ লক্ষাধিক বাসিন্দা।
ওয়াসার পাইপলাইন স্থাপন, সড়ক ও ড্রেনেজ-ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সংস্কারকাজে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫২, ৫৩ ও ৫৮ থেকে ৭০ নম্বর অর্থাৎ ১৮টি ওয়ার্ডের প্রধান সড়ক ও অলিগলি এলোপাতাড়ি খুঁড়ে চলাচলের অনুপযোগী করে ফেলে রাখা হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের আগে স্বৈরাচারী সরকার দলীয় বিবেচনায় ঠিকাদার নিয়োগ দেয়ায় কেউ এখন কাজ করছেন না। এসব সড়কের কিছু জায়গায় বাসাবাড়ির পয়োনিষ্কাশন পানিতে বছরের ১২ মাস ডুবে থাকে। বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছে। বৃষ্টির পানির সাথে শিল্প-কলকারাখানার বর্জ্য ও স্যুয়ারেজ লাইনের ময়লা-আবর্জনা মিশে একাকার হয়ে প্রধান সড়ক, অলিগলি ডুকে থাকে। বর্তমানে বাসাবাড়ি, রান্নার চুলা, মসজিদ, মাদরাসা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, শিল্প-কারখানাসহ নানা স্থাপনার নিচতলা দুই-তিন ফুট পানির নিচে। এ দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের হানিফ ফ্লাইওভার টোলপ্লাজাসংলগ্ন কাজলা সড়কে হাঁটুপানি। এখানকার অবস্থা এত শোচনীয় যে, অনেক স্থানে পয়োনিষ্কাশন কার্যক্রম ও নিচতলায় বসবাসরতদের রান্নাবান্না বন্ধ। অনেকে খাট উঁচু করে, পানি সেচে বসবাস করছেন। এতে করে দুর্ভোগের পাশাপাশি পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা।
ঢাকা নগরীর দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা সমস্যা শুধু অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে আলোচিত হয়। কিন্তু এর সমাধান হয় না। পতিত স্বৈরাচার ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি মেলেনি ঢাকাবাসীর। আসলে এই নগরীর বর্ষার পানি নিষ্কাশনে আলাদা ব্যবস্থা থাকা দরকার। যেমন- গুলশান-বনানীতে আলাদা ব্যবস্থা থাকায় এলাকাটি জলাবদ্ধতামুক্ত। এখানে পানি নেমে যাওয়ার সাথে প্রাকৃতিক নিষ্কাশনের সংযোগ রয়েছে।
নগর পরিকল্পনাবিদরা বলছেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ, খাল ও নদীর সাথে বাধাহীন সংযোগ থাকতে হবে। রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীর খালগুলো দখলমুক্ত হওয়া দরকার। বিশেষ করে কাটাসুর, রামচন্দ্রপুর, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, আবদুল্লাহপুর, বাউনিয়া, আলোকদির দ্বিগুণ, দিয়াবাড়ি, ধোলাইখাল ও হাজারীবাগ খাল। এগুলো দখলমুক্ত করে খনন করলে জলাবদ্ধতা অনেকটা সহনীয় পর্যায়ে আসবে। একই সাথে আবর্জনায় ভরাট হওয়া ঢাকার আশপাশের নদীগুলো আবর্জনামুক্ত ও খনন করতে হবে। নগরীতে নতুন আবাসন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পানি-পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আবাসন কোম্পানিগুলোকে অবশ্যই রাখতে হবে। তবে সব কিছুর আগে ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। নগরীর দুই সিটি করপোরেশন ও রাজউক একসাথে কাজ করলে জলাবদ্ধতা নিরসন করা খুব সহজ হবে। কিন্তু ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাক্সিক্ষত সেই সমন্বিত উদ্যোগের বড় অভাব।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল