অভিযোগ গুরুতর, খতিয়ে দেখুন
- ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ নতুন করে পথচলা শুরু করেছে। ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনে টিকতে না পেরে রক্তপিপাসু হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এখনো সেখানে আছেন। তবে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের অর্জন ব্যর্থ করতে দেশী-বিদেশী চক্র বিশেষ করে বৃহৎ প্রতিবেশী দেশটি এখনো মাফিয়া হাসিনাকে ফের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার নানা ফন্দি আঁটছে। এ ক্ষেত্রে জনপ্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা হাসিনার দোসরদের টুলস হিসেবে ব্যবহারের ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জনপ্রশাসনে স্বপদে বহাল থাকা হাসিনার দোসরদের নিয়ে এমন অপকর্মের জাল বিছানোর কাজ করছে প্রতিবেশী দেশটি।
হাসিনাকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার একটি ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের খবর গতকাল নয়া দিগন্তে প্রকাশিত হয়েছে। খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশের মাঠপ্রশাসনে জেলাপ্রশাসক নিয়োগে লেনদেন ও তাতে প্রতিবেশী দেশের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। সিনিয়র সচিব ও দুই যুগ্মসচিবের কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস হয়েছে। তাতে দেখা যায়, এ নিয়োগে জনপ্রশাসনের সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান ও দু’জন যুগ্মসচিব দেশে-বিদেশে ডলার ও টাকায় বিপুল অর্থ গ্রহণ করেছেন।
পেছন থেকে এর সরাসরি নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করছে প্রতিবেশী দেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থা। সিনিয়র সচিব ও যুগ্মসচিবের কথোপকথন থেকেই সেটি জানা গেছে।
মাঠপ্রশাসনে প্রতিবেশী দেশের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের নিয়োগের মূল উদ্দেশ্য হলো, পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনার পথ সুগম করা। এ মিশন সফল করতে মোটা অঙ্কের টাকা বিনিয়োগের পাশাপাশি কয়েকজন ছাত্র সমন্বয়ককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সিনিয়র সচিব মোখলেছুর রহমান ও বিতর্কিত যুগ্মসচিব ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদের গোপন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিংয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডি উইংয়ের যুগ্মসচিব এবং জনপ্রশাসন সচিব মোখলেছুর রহমানের পাশাপাশি জেলায় বাড়ি হওয়ার সুবাদে তারা আগে থেকে ঘনিষ্ঠ। আরেক বিতর্কিত যুগ্মসচিব আলী আযম ও ড. জিয়াউদ্দিনও বেশ ঘনিষ্ঠ। মূলত শেষোক্ত দু’জনের পরামর্শে দু’জন ছাত্র সমন্বয়কের তদবিরে ও কথিত সমন্বয়ক তানভীরের চাপে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মোখলেছুর রহমানকে জনপ্রশাসনে সিনিয়র সচিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
জনপ্রশাসনের সচিব হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে জিয়া ও মোখলেছের কথোপকথন শুরু। জনপ্রশাসন সচিব ড. জিয়াকে ফোনে না বলে সরাসরি কথা বলতে বলেন। মোখলেছ উল্লেখ করেন, তিনি সংবেদনশীল চেয়ারে আছেন এবং তাকে গোয়েন্দারাসহ সবাই ফলো করছে।
একটি মেসেজে সিনিয়র সচিব পাঁচ কোটি টাকা দেয়ার কথা বলছে তাকে ১০ কোটি টাকা দেয়ার কথা বলেন ড. জিয়া। স্ক্রিনশটের আরেকটি টেক্সটে ড. জিয়া প্রতিবেশী দেশের গোয়েন্দা সংস্থার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, তারা ৫০-৫২ জন জেলা প্রশাসক তাদের পছন্দে দিতে দাবি করেছে, অন্যথায় তারা ঝামেলা পাকাবে। বিনিময়ে তারা ২০০ কোটি টাকা দিচ্ছে এবং পেমেন্ট সিঙ্গাপুরে নাকি থাইল্যান্ডে দেবে সে জন্য মতামত চেয়েছে।
আমরা মনে করি, ফাঁস হওয়া কথোপকথন এক গুরুতর বিষয়। এটির সত্যতা বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। সত্যতা পাওয়া গেলে দ্রুততার সাথে অন্তর্বর্তী সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের ন্যূনতম ছাড় দেয়ারও অবকাশ নেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা