অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ছাঁটুন
- ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
উন্নয়নের নামে পতিত শেখ হাসিনার আমলে বহু প্রকল্প নেয়া হয়, যার কোনো জনঘনিষ্ঠতা নেই। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় এসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় করা হয় রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ। সরকারি টাকা খরচ করে প্রকল্পের নামে নিজের লোকদের রিষ্টপুষ্ট হওয়ার সুযোগ করে দেয় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। স্বৈরাচারের দোসররা অবৈধ সুযোগে রাষ্ট্রীয় অর্থ লুটে এর বেশির ভাগ বিদেশে পাচার করে। পরিণতিতে দেশের অর্থনীতি ফোকলা হয়ে গেছে। আমাদের অর্থনীতি এখন গভীর খাদের কিনারে দাঁড়িয়ে। এতে সাধারণ মানুষ দুর্দশায় নিপতিত হয়েছেন। অর্থনৈতিক দুর্দশা এখনো না কাটলেও রাজনৈতিক অসহনীয় পরিস্থিতি থেকে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশের মানুষের মুক্তি মিলেছে।
গণ-অভ্যুত্থানের ফসল বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। এ সরকার জন-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। মাত্র এক মাসের বেশি সময় দেশের শাসনভার নিয়ে অধ্যাপক ড. ইউনূসের সরকার ধ্বংসস্তূপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে রাজনৈতিক বিবেচনায় যেসব প্রকল্প স্বৈরাচার নিয়েছিল তা বাদ দেয়া হচ্ছে। আশা করা যায় এতে বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এখন ঘাটতি ৪ শতাংশের ঘরে নামিয়ে আনা হবে। এ লক্ষ্য অর্জনে বাজেট কাটছাঁট করতে হবে। বাজেট কাটছাঁট মানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) ব্যয় কমানো। রাজস্ব বাজেট থেকে যা কমানো সম্ভব নয়। তাই উন্নয়ন বাজেট থেকে তা কমানো হবে। মূলত এডিপির আকার কাটছাঁটের মাধ্যমে সরকার সাশ্রয়ী হতে চাচ্ছে। সঙ্গতকারণে বিদ্যমান পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এডিপি থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে। ফলে এডিপির আকার হবে দুই লাখ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এডিপির আকার ধরা রয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
নয়া দিগন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পতিত হাসিনা সরকারের সময়ে এডিপি প্রণয়নে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অনেক প্রকল্প রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার এখন এসব প্রকল্প আর বাস্তবায়ন করবে না। ইতোমধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এডিপির এসব প্রকল্প নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা শুরু হয়েছে। এসব মন্ত্রণালয়ের বিপরীতে কম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে বিদ্যুৎ, সড়কের মতো অবকাঠামোগত প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে আনা হবে অথবা বরাদ্দ স্থগিত রাখা হবে।
বিগত সরকারের আমলে চলমান যেসব মেগা প্রকল্প রয়েছে তার অর্থ কাটছাঁট করা হবে। ফলে এডিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার পরিমাণ কমবে। চলতি অর্থবছরে বাজেটে ব্যাংক ঋণ নেয়ার লক্ষ্য নির্ধারিত রয়েছে এক লাখ ৩৬ হাজার কোটি টাকা। এ ঋণ এখন লাখ কোটি টাকার নিচে নামিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাস্তবতা হলো- এডিপি বাস্তবায়নে ব্যাংক থেকে সরকারকে ঋণ নিতে হয়। তাই সাশ্রয়ী হতে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে।
পতিত হাসিনা দেশের অর্থনীতি যেভাবে ধ্বংস করে গেছেন, তা পুনর্গঠন করতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয়ে সদা সতর্ক থাকতে হবে। সব অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বন্ধ করে রাষ্ট্রীয় নীতিতে কৃচ্ছ্রতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই। সেই হিসাবে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে যেসব প্রকল্প নেয়া হয়েছে, তা বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার সাধুবাদ পেতে পারে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা