সদা সতর্ক থাকতে হবে
- ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০৫
দেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে মাঝে মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। এগুলো মূলত পাহাড়িদের মধ্যকার অন্তর্দ্বন্দ্বের জের। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে পাহাড়ি কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী স্বায়ত্তশাসনের নামে সশস্ত্র কর্মকাণ্ড চালায়। এ নিয়ে পাহাড়ে অশান্তি লেগেই আছে। পরিণতিতে নিরীহ পাহাড়িদের জীবন দুর্বিষহ। এর মধ্যে শান্তি বাহিনী এবং ইউপিডিএফের শত্রুতা এমন যে, দু’পক্ষ পরস্পরের প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে। পাহাড়ের এ সমস্যা দীর্ঘ দিনের। সেখানে আইনশৃঙ্খলা তেমন কার্যকর নয়। যদিও শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি নামে একটি বিতর্কিত চুক্তি পাহাড়িদের সাথে স্বাক্ষর করেন। তাদের বড় ধরনের ছাড় দিয়ে এ চুক্তি সম্পাদিত হওয়ার পরও পাহাড়ে শান্তি পুরোপুরি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো পাহাড়ি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিহত হচ্ছেন।
তবে দুঃখের বিষয় হলো, পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর একটি অংশ সরকারের এবং সমতলবাসীর সহনশীলতা ও সংবেদনশীলতার মর্যাদা দেয়া দূরে থাক; উল্টো এটিকে দুর্বলতা ভেবে প্রতিবেশী দেশের উসকানিতে সহিংসতা করতে কসুর করে না। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সন্ত্রাসীরা। এর জেরে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে চারজনের প্রাণ ঝরেছে। এই সময় পাহাড়ি জনপদ অশান্ত করার অপচেষ্টায় প্রতিবেশী দেশের মদদ রয়েছে বলে অনেকের ধারণা। কারণ দিল্লির তাঁবেদার হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় ভারত আঞ্চলিক রাজনীতিতে চাপে পড়েছে। তাই ড. ইউনূস সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চায় দিল্লি। এ ক্ষেত্রে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং বিরোধী দল কংগ্রেসের মনোভাব অভিন্ন। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য তার প্রমাণ।
হাসিনার পতন নিয়ে ভারতের মোদি সরকার এবং কংগ্রেসের বয়ান এক। দিল্লির মনোভাব, হাসিনার উৎখাতে বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটেছে। লক্ষণীয়, মাফিয়া হাসিনার পতনের আগে ক্ষমতা সংহত করতে পাহাড়ে জঙ্গি নাটক মঞ্চস্থ করা হতো রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাহিনী ব্যবহার করে। গণ-অভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার এখন রাষ্ট্র সংস্কারে মনোযোগী হয়েছে। কিন্তু এই সরকার যাতে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে না পারে সে জন্য পদে পদে বাধার সৃষ্টি করছে স্বৈরাচারের প্রেতাত্মরা। একর পর এক নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে গিয়ে তেমন সুবিধা করতে না পেরে এখন পাহাড়ি জনপদ অশান্ত করার অপচেষ্টা চলছে। এখানে খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ঘটনা সম্পর্কে আইএসপিআরের বিবরণটি প্রণিধানযোগ্য। ওই বিবরণ থেকে জানা যায়, পুরো ঘটনার জন্য ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মূলত দায়ী।
খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে তিন পার্বত জেলায় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তবে সরকারকে এ কথা স্মরণে রাখতে হবে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রতিক অস্থিরতা দূর করতে হবে। সাথে সাথে এটিও খতিয়ে দেখতে হবে যে, এই অস্থিরতা সৃষ্টিতে ভারতের মদদ রয়েছে কি না। থাকলে কূটনৈতিকভাবে তা মোকাবেলা করতে হবে। আর সন্ত্রাসীদের দমনে প্রচলিত আইনে মোকাবেলা করতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা