১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহ্বান উপদেষ্টার

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ - ছবি - ইন্টারনেট

সরকারি অর্থের অপচয় কমানোর আহ্বান জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের এই কনটেক্সটে, সরকারের এই মুহূর্তে অর্থের প্রয়োজন। সরকারি খরচ ও অন্য ব্যয় নির্বাহে অর্থ প্রয়োজন। সরকার যেন কোনো অর্থের অপচয় না করে।’

আজ শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যক্ষ করে ফাঁকি দেয়া যায় না। কিন্তু আমাদের পরোক্ষ করে ঝামেলা আছে। কষ্ট দিয়ে কারো কাছ থেকে রাজস্ব আদায় করবেন না।’

এসময় কর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘করদাতাদের মনে যেন ভীতি তৈরি না হয়। তাদের প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।’

আলোচনা সভায় সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা কমাব না। আমাদের ঘাটতি বাজেট থাকে। বাজেটের বড় অংশ বাইরে থেকে ঋণ হিসেবে আনতে হয়। দিন দিন ঋণের বোঝা বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করব নিজেরা নিজেদের অর্থের সংস্থান করতে। তবে এটা ঠিক যে নিজেদের অর্থে হবে না, বাইরে থেকেও অর্থ আনতে হবে। তবে লক্ষ্য করতে হবে আমরা যেন পরমুখাপেক্ষী না হই।’

পরমুখাপেক্ষী হওয়ার বিপদ অন্তর্বর্তী সরকার টের পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘একটা কথা আছে আপনার হাতটা যদি আমার পকেটে থাকে, আমি ডান দিকে গেলে আপনিও যাবেন। আমি বায়ে গেলে আপনিও বায়ে যাবেন। সেটা কিন্তু হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করছি। দাতা সংস্থারা যেদিকে বলে যেতে, অবশ্য আমরা চেষ্টা করছি নিজেরা অ্যাসল্ট (প্রতিউত্তর) করতে। ডান দিকে যেতে বললে আমার যাওয়ার কথা বাঁ দিকে, বাঁ দিকে গেলে আমার যাওয়ার কথা ডান দিকে। সেটা অনেক সময় সম্ভব হয় না। আমরা চাই না তাদের ওপর নির্ভরশীল হতে।’

এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, ‘জোর করে কারো কাছ থেকে কর আদায় করা হবে না। এখন থেকে জুলুম নয়, করদাতাদের স্বস্তি দেয়া হবে।’

এনবিআরের আইনগুলোকে ব্যবসাবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘সবাইকে অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের অনুরোধ করছি। জণগণের কাঁধে ঋণের বোঝা চাপছে, অথচ এনবিআর কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় করতে পারছে না। এখান থেকে বের হতে হবে।’

এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, করদাতাদের দেয়া রাজস্ব বিভিন্নভাবে অপচয় হয় এমন কথা প্রচলিত আছে। এখান থেকে বের হতে হবে এনবিআরকে।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর) অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: লুৎফুল আজীম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের মাঝে আয়করের সংস্কার প্রয়োজন।

এ সময় তিনি অটোমেশনের পাশাপাশি কর কর্মকর্তাদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণেও জোর দিয়ে বলেন, এখানে এক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করলে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ সম্ভব হবে।


আরো সংবাদ



premium cement