বিশ্বের ৩৮টি দেশে রফতানি হবে ৩১০০ টন বাংলাদেশের আম

ইউরোপসহ বিশ্বের ৩৮টি দেশে যাবে বাংলাদেশের আম। গোপালভোগ, হিমসাগর, আম্রপালি, ফজলী, সুরমা ফজলি, বারি-৪ জাতের রফতানিযোগ্য ৩ হাজার ১০০ টন আম এ বছর রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। গত বছর (২০২৩) রফতানি হয়েছে ৩ হাজার ৯২ টন।

সোমবার ১৪টি কনসাইনমেন্টে ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি ও ফ্রান্সে ২৫ টন আম রফতানির উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুস শহিদ। যদিও সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে আম রফতানি উদ্বোধন করা হলেও মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এই পর্যন্ত ১৫টি দেশে গোপালভোগ, হিমসাগর জাতের প্রায় ১৮৯ টন আম রফতানি করা হয়েছে।

রাজধানীর শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজে আম রফতানি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরে তাপদাহে আমসহ বেশকিছু ফসল উৎপাদন কম হয়েছে, তাই কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় কৃষি উপকরণ বেশি করে যথাসময়ে সরবরাহ করা হবে।

তিনি বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের আমের যথেষ্ট সুনাম ও চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশ হতে উন্নত দেশের মূলধারার সুপার মার্কেটগুলোতে আম সরবরাহ করা গেলে আম রফতানির পরিমাণ বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং আম উৎপাদনকারীগণ অধিকতর লাভবান হবেন।

তিনি বলেন, বৈদেশিক আয় বৃদ্ধি করতে আম রফতানি খুবই সম্ভাবনাময়। কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার আম রফতানির মাধ্যমে উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যে নানান পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে।

আম রফানিকারকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আম রফতানি বৃদ্ধি করার জন্য শ্যামপুরে অবস্থিত কেন্দ্রীয় প্যাকিং হাউজ আধুনিক ও শক্তিশালীকরণ করা হয়েছে। অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা দূর করতে কাজ চলমান আছে।

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মো: আওলাদ হোসেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, রফতানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।