শার্ক ট্যাংকে‘ওস্তাদ’ পেল ১ কোটি টাকা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ মে ২০২৪, ২১:৩১
অভিনব সব বিজনেস ও সম্ভাবনাময় সব উদ্যোক্তাদের নিয়ে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ-তে শুরু হয়েছে বিনিয়োগ পাওয়ার সবচেয়ে বড় মঞ্চ ‘শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ’। এখন অব্দি এই শো’য়ের মাধ্যমে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেশের বিভিন্ন ছোট-বড় স্টার্টআপে বিনিয়োগ করা হয়েছে। যার মধ্যে সম্প্রতি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানটির তৃতীয় পর্বেই একটি বিজনেস একাই পেয়েছে ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ।
‘ওস্তাদ’ নামের এই কোম্পানিটি মূলত এআই বেইজড অনলাইন লার্নিং প্রতিষ্ঠান। যারা মূলত অনলাইনে নানা ধরনের আইটি বেইজড কোর্স প্রোভাইড করে থাকে এবং তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কোর্স শেষ হলে নানান প্রতিষ্ঠানে দক্ষ লোকবল নিয়োগ করে থাকে৷ ইতোমধ্যে তারা প্রায় ৬ হাজার মানুষকে কর্মসংস্থান প্রদান করতে সক্ষম হয়েছে।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডর্মিটরিতে থাকাকালীন কিছু ছাত্রের মাথায় আসা একটি বিজনেস আইডিয়া‘ওস্তাদ’ এখন পর্যন্ত বেশ লাভজনক ব্যবসা তৈরি করে ফেলেছে দেশের আইটি বিজনেসে। ২০২৩ সালে ওস্তাদ ৭.৫ কোটি টাকার ব্যবসা করে আর ২০২৪ সালে তাদের টার্গেট ২৫ কোটি টাকা। এখন পর্যন্ত শার্ক ট্যাংকের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর ডিল ছিল‘ওস্তাদ’। শার্কদের কাছে ওস্তাদ-এর উদ্যোক্তাদের প্রস্তাব ছিল ৮০ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশনে ১.২৫ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি টাকা। কিন্তু সবশেষে প্রায় ৫ থেকে ৬ বার তুমুল নেগোসিয়েশন আর কাউন্টার অফারের পর বিডিজবসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শার্ক ফাহিম মাশরুর, রবি আর ভেঞ্চারের সিইও শার্ক কাজী এম হাসান এবং স্টার্ট-আপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শার্ক সামি আহমেদ ৬ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ১ কোটি টাকা (টাকার বিনিময়ে ১.৭ শতাংশ শেয়ার + ৪.৩ শতাংশ অ্যাডভাইজরি শেয়ার) বিনিময়ে চুক্তি সম্পন্ন করেন।
বিশেষ এই চুক্তি নিয়ে পরবর্তীতে সামি আহমেদ আমাদের বলেন,‘ওস্তাদের গল্পটা আসলেই খুব অনুপ্রেরণামূলক। কুয়েটের ছোট্ট একটা হলরুম থেকে শুরু করে এর উদ্যোক্তারা আজ বিজনেসটিকে ৮-১০ কোটির ব্যবসায় পরিণত করে ফেলেছে; এটা খুবই এপ্রিশিয়েট করার মতো একটা বিষয়। আমাদের দেশের তরুণরা কতটা এগিয়ে যাচ্ছে এই সময়ে শার্ক ট্যাঙ্ক এটার প্রমাণ। ওস্তাদ, পার্কওয়ে ফার্নিচার, ইজিবাজার এবং ইংলিশ চ্যাম্প; চারটি প্রতিষ্ঠানের জন্যই রইলো শুভকামনা। আমাদের তরুণরা এগিয়ে যাক অদম্য সাহস নিয়ে নতুনের পথে।’
‘ওস্তাদ’ ছাড়াও এই পর্বে আরো দুটি বিজনেস বিনিয়োগ পেতে সক্ষম হয়
ইংলিশ চ্যাম্প
শার্ক ট্যাংকের ৩য় পর্বের অন্যতম একটি অভিনব বিজনেস ছিল‘ইংলিশ চ্যাম্প’। এই প্রতিষ্ঠান মূলত স্কুল পড়ুয়া শিশু-কিশোরদের অনলাইনে কোর্সের মাধ্যমে ইংরেজিতে দক্ষ হতে ক্লাস পরিচালনা করে। শার্ক ট্যাংকে তাদের প্রস্তাব ছিল ৫ কোটির ভ্যালুয়েশনে ১০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ৫০ লাখ টাকা। সবশেষে নেগোশিয়েশন করে শার্ক ফাহিম মাশরুর ও সামি আহমেদের সাথে তারা ১৮ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা ক্যাশ ও ১০ শতাংশ ইন্টারেস্টে ৩০ লাখ টাকা লোনের চুক্তি সম্পন্ন করেন।
পার্কওয়ে ফার্নিচার
‘পার্কওয়ে ফার্নিচার’ মূলত ফার্নিচারের নানা ধরণের আইটেম তৈরি এবং বিক্রিতে কাজ করে। গত ১৩ মাসে তারা প্রায় অর্ধকোটি টাকার সেল করতে সক্ষম হয়েছে। সেজন্য শার্ক ফাতিন হক এবং সাওসান খান ইন্টারেস্টেড হন ফান্ডিং করার জন্য। পার্কওয়ে ফার্নিচার-এর উদ্যোক্তা ৩ কোটি টাকার ভ্যালুয়েশনে ১০ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ৩০ লাখ টাকা ফান্ডিং চান। সবশেষে ১৮ শতাংশ শেয়ারের বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা ক্যাশ, সেই সাথে ৭.৫ লাখ টাকা ওয়ার্ক অর্ডার ফাইন্যান্সিং ও ৭.৫ লাখ টাকা মূল্যের ঢাকার সবচেয়ে প্রিমিয়াম জায়গায় ১ বছর শোরুম ব্যবহারের সুযোগ এবং রয়্যালটিতে ৬০ লাখ টাকা ফেরতস্বার্থে ডিল সম্পন্ন হয়।
শার্ক ট্যাংক বাংলাদেশ-এর নতুন পর্ব প্রতি শুক্রবার রাত ১০টায় একসাথে সম্প্রচারিত হচ্ছে বঙ্গ প্ল্যাটফর্ম ও দীপ্ত টিভিতে। এছাড়া যেকোনো সময় পর্বগুলো ফ্রি-তে দেখা যাচ্ছে বঙ্গ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি