বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উত্তোলন বন্ধ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৩, আপডেট: ৩০ আগস্ট ২০২৩, ১১:৫৪
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ কোল ফেইসে কয়লার মজুত শেষ হয়ে যাওয়ায় উৎপাদন বন্ধ থাকবে প্রায় দুই মাস। বুধবার (৩০ আগস্ট) সকাল থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো: সাইফুল ইসলাম সরকার কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, নতুন কোল ফেসের উৎপাদন শুরু হবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে। খনি কর্তৃপক্ষ ধারণা করছে, নতুন কোল ফেস থেকে প্রায় দুই লাখ ১০ হাজার টন কয়লা পাওয়া যাবে। চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১১১৩ কোল ফেস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছিল। এই কোল ফেস থেকে তিন লাখ ৭৫ হাজার টন কয়লা উত্তোলন করা হয়। উৎপাদিত কয়লা বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে ১১১৩ নম্বর ফেজে ব্যবহৃত উৎপাদন যন্ত্রপাতি সরিয়ে ১৪১২ নম্বর ফেজে স্থাপনের কাজ চলছে। নতুন ফেজটি থেকে উৎপাদনে যেতে প্রায় দুই মাস সময় লেগে যাবে। আশা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে কয়লা উত্তোলন হতে পারে।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মো: আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বর্তমানে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তিন নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। এটি থেকে প্রতিদিন গড়ে ১৮০ থেকে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়ে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে। ইউনিট চালু রাখতে প্রতিদিন দুই হাজার টন কয়লা প্রয়োজন। বর্তমানে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ইয়ার্ড ও তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের ইয়ার্ডে এক লাখ ১০ হাজার টন কয়লা মজুত রয়েছে। যা দিয়ে প্রায় দুই মাস তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের এই ইউনিট সচল রাখা সম্ভব হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা