২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশসহ ১৫ দেশ থেকে ‘অদক্ষ’ কর্মী নেবে মালয়েশিয়া

মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতোক সেরি খায়রুল দাজামি দাউদ। - ছবি : সংগৃহীত

নতুন করে বাংলাদেশসহ ১৫টি ‘সোর্স কান্ট্রি’ বা দেশ থেকে ‘অদক্ষ’ শ্রমিক নেয়ার নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে মালয়েশিয়া সরকার। দেশটির অভিবাসন বিভাগের এ নীতিমালার আওতায় তিনটি সেক্টরে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে এ বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওই সেক্টরগুলোতে অধিক পরিশ্রম ও ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় মালয়েশিয়ানরা এতে কাজ করে না। সেক্টরগুলো হচ্ছে পামতেল শিল্প, প্লানটেশন ও কনস্ট্রাকশন। তিন খাতে অদক্ষ কর্মীরা মালয়েশিয়ায় প্রবেশের পর সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন।

শুক্রবার সকালে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক দাতোক সেরি খায়রুল দাজামি দাউদ।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বিদেশী কর্মীদের এ দেশে স্থায়ী হতে দেয়া হবে না। তাদের ১০ বছর মেয়াদি ভিসা দেয়া হবে, যা প্রতিবছর রিনিউ করে নিতে হবে। কারো ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে মালয়েশিয়ায় থাকার কোনো সুযোগ নেই। ১০ বছর মেয়াদ শেষে তাদেরকে অবশ্যই নিজ নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যে দেশগুলোকে ‘সোর্স কান্ট্রি’ হিসেবে অভিহিত করে শ্রমিক নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে ওই দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম, কাজাখস্তান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত।

অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক খায়রুল আরো জানান, ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন বা ১০ লাখ ৪০ হাজার শ্রমিক বৈধভাবে কাজ করেছে। অবৈধদের রিক্যালিব্রেশনের (পুনঃ বৈধকরণ) মাধ্যমে বৈধতার সুযোগ নিতে হবে অথবা নিজ দেশে ফেরত যেতে হবে।

নিয়মিত অবৈধদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। যারা মালয়েশিয়ায় বৈধ ওয়ার্কপারমিট নিয়ে কাজ করছেন তাদেরকেও হুঁশিয়ার করে খায়রুল বলেন, এ দেশের সংবিধান ও অভিবাসন আইন মেনেই কাজ করতে হবে। যদি এর লঙ্ঘন করা হয় তাহলে ভিসা বাতিলসহ কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড এমনকি নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

করোনার ছোবলে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি বড়সর ধাক্কা খেয়েছে। পাশাপাশি এখন শ্রমিক সঙ্কট তীব্রতর হচ্ছে। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা কমায় লকডাউন শিথিল করে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করছে দেশটির সরকার।


আরো সংবাদ



premium cement