১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পরিচ্ছন্নতা খাতে জনগণের ব্যয় জরিপ করবে বিবিএস

পরিচ্ছন্নতা খাতে জনগণের ব্যয় জরিপ করবে বিবিএস - ছবি : সংগৃহীত

ওয়াশখাতে বা পরিষ্কার পরিচ্ছতার পেছনে দেশের মানুষ কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে তার কোনো তথ্য নেই পরিসংখ্যান ব্যুরোর কাছে। এই ওয়াশখাতে সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগতভাবে কত ব্যয় করছে, আর সরকার কত খরচ করছে তার একটি জরিপ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। খাবার পানি, পয়:ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) ব্যয় জরিপ-২০২১ পরিচালনা করবে সংস্থাটি। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ মার্চ পর্যন্ত ১২ দিন মাঠ পর্যায়ে এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। এতে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে ওয়াটার এইড বলে জানান জরিপ কার্যক্রমের সাথে জড়িতরা।

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ পরিসংখ্যান ভবণের সম্মেলন কক্ষে রোববার অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও মাস্টার ট্রেইনারদের তিনদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) মহাপরিচালক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ মেসবাহুল আলম এবং ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান। প্রকল্পের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিবিএস এর উপপরিচালক ও জরিপের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো.আলমগীর হোসেন। উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ প্রেক্ষাপট এবং বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনায় প্রথমবারের মতো এ খাতে পূর্ণাঙ্গ এবং পৃথক একটি জরিপের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জরিপের সাথে সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২টি নমুনা এলাকা থেকে পাঁচ হাজার ৫০টি খানা (পরিবার) থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরমধ্যে শহর এলাকার ১০১টি নমুনা এলাকার দুই হাজার ৫২৫টি খানা এবং পল্লী এলাকার দুই হাজার ৫২৫টি খানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। জরিপটি সফল করতে আগামী ১৮ থেকে ২০ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত সুপারভাইজিং কর্মকর্তা এবং তথ্য সংগ্রহকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। জরিপের মাধ্যমে খানা সদস্য সম্পর্কিত তথ্য, খানার বৈশিষ্ট্য, খানার আয় ও ব্যয় এবং পানি, পয়:ব্যবস্থাপনা ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুবিধা ও ব্যয়সমূহের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।

এসআইডি সচিব ইয়ামিন চৌধুরী বলেন, ওয়াশ কার্যক্রম এদেশে বহুদিন ধরেই চলছে। কিন্তু আমরা কোন অবস্থানে আছি সেটি পুরোটাই জানি না। এ জরিপের মাধ্যমে এ খাতে ব্যয়ের একটি সার্বিক চিত্র উঠে আসবে। নিয়মিত এ ধরনের জরিপ পরিচালনার প্রয়োজন হলেও সেটি সম্ভব হয় না। তথ্য এমনভাবে তুলে আনতে হবে যেন এ খাতের সবগুলো খরচ আলাদাভাবে উঠে আসে।

হাসিন জাহান বলেন, সঠিক তথ্য ছাড়া কোনো পরিকল্পনা করা যায় না। এই জরিপে সাবান, পানি, হারপিক ব্যবহারসহ এ ধরনেও ক্ষেত্রে কি পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় তার চিত্র উঠে আসবে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে কত ব্যয় করছি আর সরকার কি রকম ব্যয় করছে সে তথ্যও জানা যাবে। কোভিডের মধ্যে সাবান ও পানির ব্যবহার যেমন বেড়েছে, তেমনি এ খাতে খরচও বেড়েছে। কিন্তু সেই খরচ বহনের সাধ্য মানুষের আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ জন্যই এ ধরনের জরিপের প্রয়োজন।

বিবিএস মহাপরিচালক তাজুল ইসলাম বলেন, মাঠ থেকে সঠিক তথ্য তুলে আনতে হবে। যেন চূড়ান্ত ফলাফলও সঠিক হয়। শক্ত পরিকল্পনা তৈরি করতে হলে সঠিক পরিসংখ্যানের বিকল্প নেই।


আরো সংবাদ



premium cement