২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভর্তুকি-প্রণোদনা খাতেই ব্যয় হবে ৪৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা

ব্যাংকের সুদ পরিশোধে ব্যয় ৫ হাজার কোটি টাকা; এলএনজি-বিদ্যুৎ ভর্তুকি ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
-

আগামী ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতেই ব্যয় করা হবে ৪৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা, যা কি না চলতি অর্থবছরের এ খাতে বরাদ্দ অর্থের চেয়ে ১৪ ভাগ বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি ও প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ রয়েছে ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরের ভর্তুকি খাতে প্রথমবারের নতুন একটি খাত যোগ হয়েছে। আর সেটি হলো ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ। এ খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। কোভিড-১৯ এর কারণে বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য ভর্তুকি হিসেবে এবার এ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আগামী অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি ভর্তুকি দেয়া হবে কৃষি খাতে। এ খাতে ভর্তুকি রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে ৯ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ভর্তুকির দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ খাত। এ খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৯ হাজার কোটি টাকা। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) খাতেও ভর্তুকির একটি বিশাল অঙ্ক ধরা হয়েছে। এখানে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ থাকছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে খাদ্যবাবদ ভর্তুকি দেয়া হবে ৬ হাজার কোটি টাকা। কোভিডের কারণে গরিবদের স্বল্পমূল্যে চাল সরবরাহ করার জন্যই এ খাতে বেশি ভর্তুকির প্রয়োজন হচ্ছে। রফতানি ও রেমিট্যান্স খাতে প্রণোদনার জন্য রাখা হয়েছে যথাক্রমে ৬ হাজার ৮২৫ কোটি টাকা এবং ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা। আর ব্যাংকঋণ সুদ খাতে ভর্তুকি রয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অর্থ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কোভিডের কারণে প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সরকার বিভিন্ন প্যাকেজে ব্যাংকঋণের সুদে ৫ থেকে সাড়ে ৫ এমনকি ৯ শতাংশ সুদ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করছে। এ সুদের ব্যয় কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সরকারকেই বহন করতে হবে। এ জন্য আগামী অর্থবছরে এ খাতে ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের মতো আগামী অর্থবছরেও এলএনজি খাতে ভর্তুকি দেয়া হবে। তবে আগামী অর্থবছরের ভর্তুকির পরিমাণ ৫০০ কোটি টাকা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। চলতি অর্থবছরের এ খাতে ৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হলেও আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সরকার মূলত এলএনজি আমদানিকারক বেসরকারি খাত থেকে বেশি দামে পণ্যটি কিনে স্থানীয় বাজারে কম দামে বিক্রি করার কারণে এ ভর্তুকি গুনতে হয় বলে জানা গেছে।

একই অবস্থা বিদ্যুৎ খাতেও। আগামী অর্থবছরে এ খাতে ভর্তুকি গুনতে হবে ৯ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ রয়েছে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি খাতে প্রতিষ্ঠিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে কম দামে বিক্রি করার কারণে এ খাতে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। শুধু চুক্তির শর্ত পরিপালনের জন্য কোনোরূপ বিদ্যুৎ না কিনেও বেসরকারি খাতে রেন্টাল পাওয়ার কোম্পানিগুলোকে প্রতি বছর ৪ হাজার কোটি টাকা সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে ৩৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি, নগদ সহায়তা, প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ ছিল ২৮ হাজার ৪৫ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১ দশমিক ৩ ভাগ। তার আগের অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ রাখা ছিল ২৬ হাজার ৭২৯ কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ১ দশমিক ২ ভাগ। যদিও সংশোধিত বাজেটে এ ভর্তুকির পরিমাণ ২৩ হাজার ৮৩০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা।


আরো সংবাদ



premium cement
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের সমন্বিত ফলাফল প্রকাশ রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ প্রধান বিচারপতির কুলাউড়ায় শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষককে গণপিটুনি অহিংস গণঅভ্যুত্থানের আহ্বায়কসহ ১৮ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় ন্যাশনাল হাসপাতালের ওপর চাপানো ভিত্তিহীন : কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল বন্ধ ঘোষণা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে পিরোজপুরে একজনের যাবজ্জীবন নড়াইলে ২ ভাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নোবিপ্রবিতে মানবিকতার আড়ালে হচ্ছে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ পুনর্বাসন ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে ‘ডি চক’ যাত্রা, উত্তাল পাকিস্তান জিম্বাবুয়েকে ১৪৫ রানে গুটিয়ে দিলো পাকিস্তান

সকল