পৌনে ৩ লাখ কৃষক পাচ্ছেন সাড়ে ২৩ কোটি টাকার সার ও বীজ
- কাওসার আজম
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১১:০২
দেশে আউশ ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ জন্য ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকার বরাদ্দ দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। বুধবার কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় এই অর্থ ছাড় ও অগ্রিম উত্তোলন সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো: তোফাজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত ওই আদেশে বলা হয়েছে, এই অর্থ ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি এবং তিনটি পার্বত্য (রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান) জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতির অনুকূলে ব্যয় করার জন্য অর্থ ছাড় ও অগ্রিম উত্তোলনের সরকারি মঞ্জুরি প্রদান করা হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্তরা এ অর্থ ব্যয়ে প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা/পদ্ধতি, যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধানসহ যথাযথ শর্তাবলী অনুসরণ করবেন বলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা বাবদ কর্মসূচি খরিপ-১/২০২০-২১এর আওতায় দুই লাখ ৭৪ হাজার ১৬৯ বিঘা জমিতে উফশী আউশ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এই পরিমাণ আউশ উৎপাদনে বীজ লাগবে ১৩৭০ দশমিক ৮৪৫ মেট্রিক টন। আর এই পরিমাণ আউশ উৎপাদনে মোট সার লাগবে (ডিএপি ও এমওপি) আট হাজার ২২৫ দশমিক ০৭০ মেট্রিক টন। এ ছাড়া ২২৫ বিঘায় এবার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এ লক্ষ্যে ০.৩০০ মেট্রিক টন বীজ ও মোট সার লাগবে (ডিএপি ও এমওপি) ৩০ মেট্রিক টন।
আউশে দুই লাখ ৭৪ হাজার ১৬৯ জন এবং পেঁয়াজে এক হাজার ৫০০ জনসহ মোট উপকারভোগীর সংখ্যা দুই লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৯ জন। এই পরিমাণ আউশ ও পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যে মোট ২৩ কোটি ৪৬ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিএ-২০০৬ এবং পিপিআর-২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। ছাড়কৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কোনো অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন। জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি সংশ্লিষ্ট উপজেলা থেকে প্রাপ্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ভিত্তিতে অগ্রিম উত্তোলিত অর্থ ৩০ জুন/২০২০ সালের মধ্যে অথবা সংযুক্ত নীতিমালা অনুযায়ী যথাসময়ে সমন্বয় করবেন এবং প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, কৃষি মন্ত্রণালয় ও মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কাছে অনুলিপি প্রেরণ করবেন। উফশী আউশ ও পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার (ডিএপি ও এমওপি) সরবরাহ/প্রদান করার নিমিত্ত কৃষি প্রণোদনা কার্যক্রম বাস্তবায়ন নীতিমালা/পদ্ধতিতে উল্লিখিত খাত ব্যতীত অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আদেশে আরো বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন কমিটি মনোনীত উপজেলা পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/সংশ্লিষ্ট মেম্বরের উপস্থিতিতে নির্বাচিত বা বাছাইকৃত কৃষকের তালিকা উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে অনুমোদনের পর উপজেলা সদর থেকে সংশ্লিষ্ট কৃষকের ছবি সংবলিত মাস্টার রোলের মাধ্যমে কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা বাবদ প্রাপ্ত উপকরণ কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। এতে উপকরণ গ্রহণকারী কৃষক স্বাক্ষর বা টিপসই দেবেন। আর ইউপি চেয়ারম্যান/সংশ্লিষ্ট মেম্বর, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক মনোনীত কর্মকর্তা এতে প্রতিস্বাক্ষর করবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা