২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

ইউনিসেফের সাথে ৩,৬৬,৫০০ ডলারের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর

ইউনিসেফের সাথে ৩,৬৬,৫০০ ডলারের অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর - ছবি : সংগৃহীত

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) জাতিসঙ্ঘের আন্তর্জাতিক শিশু জরুরি তহবিল ইউনিসেফের সাথে ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ ডলার (৪,৩৯,৮০,০০০ টাকা) মূল্যের একটি অনুদান চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

‘উন্নয়নের জন্য মূল্যায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক চুক্তিটি গতকাল স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) তিন বছর মেয়াদী প্রকল্প বাস্তবায়নে অবদান রাখবে।

বুধবার এখানে ইআরডির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের সামগ্রিক লক্ষ্য হলো টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রমাণ-ভিত্তিক, দক্ষ ও কার্যকর বিনিয়োগকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

ইআরডির সচিব মো: শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং ইউনিসেফ বাংলাদেশের কান্ট্রি-প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ারস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইআরডির জাতিসঙ্ঘ শাখা এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিশু অধিকারের ওপর গুরুত্বারোপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইউনিসেফ বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী অংশীদার। ইউনিসেফ দেশব্যাপী মানবিক কর্মকাণ্ড ও উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তা দিয়ে আসছে।

সাম্প্রতিক একটি প্রকল্প মূল্যায়ন নীতি তৈরিতে অবদান রেখেছে। এছাড়া টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রমাণভিত্তিক, দক্ষ ও কার্যকর বিনিয়োগকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের জন্য সরকারি সংস্থাগুলোর মূল্যায়ন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি একটি মূল্যায়ন নীতি বাস্তবায়ন কাঠামো, খসড়া মূল্যায়ন আইন, মূল্যায়ন বিধিমালা, মূল্যায়ন প্রশিক্ষণ মডিউল এবং জাতীয় মূল্যায়ন সক্ষমতা বিকাশের জন্য নির্দেশিকা তৈরি করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশ সরকারের কৌশলগত পরিকল্পনায় সহায়তা দিচ্ছে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), বিশেষ করে দারিদ্র্য বিমোচন (লক্ষ্য ১), সুস্থ জীবন (লক্ষ্য ৩) এবং মানসম্মত শিক্ষা (লক্ষ্য ৪) অর্জনে অবদান রাখছে।

কার্যকর উন্নয়ন কৌশল গঠনে মূল্যায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই আশা করা যায় যে শক্তিশালী জাতীয় মূল্যায়ন ব্যবস্থা সম্পন্ন দেশগুলো সময়মতো ও বাজেটের মধ্যে উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবে।

মূল্যায়ন সক্ষমতায় বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশ আরো দক্ষ সম্পদ বরাদ্দ, প্রভাবশালী হস্তক্ষেপ এবং টেকসই আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধির পথে অগ্রসর হচ্ছে।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement