২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

রমজানে গরুর গোশত বিক্রি হবে ৬৫০ টাকায়

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রমে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার - ছবি : নয়া দিগন্ত

আসন্ন রমজানে গরুর গোশত ৬৫০ টাকায় বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, রমজান মাসে জনসাধারণ যেন সহজেই প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটাতে পারেন সেই লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মাসব্যাপী সুলভমূল্যে ভ্রাম্যমাণ দুধ, ডিম ও মাংস বিপণন ব্যবস্থা চালু করছে। এ কর্মসূচির আওতায় পাস্তুরিত তরল দুধ প্রতি লিটার ৮০ টাকা, গরুর গোশত প্রতি কেজি ৬৫০ টাকা, ড্রেসড ব্রয়লার প্রতি কেজি ২৫০ টাকা এবং ডিম প্রতি ডজন ১১৪ টাকা দরে বিক্রয় করা হবে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন রমজান মাসে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম এবং বিগত ছয় মাসে মন্ত্রণালয়ের কাজের অগ্রগতি বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর গরুর গোশত বিক্রি হয়েছে ৬০০ টাকা কেজি।

উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রথম রমজান থেকে শুরু হয়ে ২৮ রমজান পর্যন্ত দুধ, ডিম ও গোশত বিপণন ব্যবস্থা ঢাকা শহরের ২৫টি স্থানে চালু থাকবে। সুলভমূল্যে প্রাণিজাত পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে জুলাই বিপ্লবের সময় যে সকল স্থানে সাধারণ মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ বেশি ছিল সেসকল স্থানকে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সামুদ্রিক পানিসীমায়ও ইলিশ ও অন্যান্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৎস্য আহরণের ওপর প্রতি বছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ (পঁয়ষট্টি) দিন সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যেকোনো প্রকার মৎস্য ও চিংড়ি, কাঁকড়া, লবস্টার ইত্যাদি (ক্রাস্টাশিয়ান্স) আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ আহরণ ১২.৭৮% বৃদ্ধির রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু এই সময়কাল পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সমন্বয় না থাকায় বাংলাদেশের মাছ আহরণে পার্শ্ববর্তী দেশের মৎস্যজীবীরা সুযোগ নিচ্ছে। তাই মৎস্য আহরণকারী সংগঠন এবং মৎস্যজীবী কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে ব্যান পিরিয়ড সমন্বয় করার দাবি উত্থাপিত হয়ে আসছে। তারই প্রেক্ষাপটেতে মৎস্য অধিদফতর এবং বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট ও অন্যান্য অংশীজন এবং মৎস্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। কারিগরি কমিটি সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদের স্থায়িত্বশীল আহরণ ও স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ মাছের ব্রিডিং পিরিয়ড এপ্রিল থেকে জুন মাস হওয়ায় ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে সকল ধরনের মৎস্য আহরণ বন্ধ রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে সামুদ্রিক জলসীমায় ইলিশ ও অন্যান্য মাছের আহরণের নিষিদ্ধ কাল হচ্ছে ৫৮ দিন (১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন)।’

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, অতিরিক্ত সচিব মো: ইমাম উদ্দীন কবীর, অতিরিক্ত সচিব আমেনা বেগম, অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: আবু সুফিয়ান, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো: আবদুর রউফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।


আরো সংবাদ



premium cement