৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`

পতনের পুঁজিবাজার, মুনাফা তুলতে খারাপ শেয়ারে আগ্রহ বিনিয়োগকারীদের

- ছবি : সংগৃহীত

সপ্তাহজুড়ে পতনের মুখে ঢাকার পুঁজিবাজারে কমেছে সূচক, লেনদেন, টার্নওভার এবং সামগ্রিক রিটার্ন। ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা স্বল্পসময়ে মুনাফা তুলতে ঝুঁকছেন জেড ক্যাটাগরির তুলণামূলক খারাপ কোম্পানির দিকে।

পাঁচ কার্যদিবসে (২৬-৩০ জানুয়ারি) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৫৩ দশমিক ৬৩ পয়েন্ট। ৫১৬৬ পয়েন্ট দিয়ে রোববার লেনদেন শুরু করলেও বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) লেনদেন শেষে সূচক দাঁড়িয়েছে ৫১২২ পয়েন্টে।

একইভাবে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২৭ পয়েন্ট এবং ব্লুচিপ ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট। পাশাপাশি এক সপ্তাহে ডিএসইর এসএমই ইনডেক্সের সূচক কমেছে ৮ পয়েন্ট।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে প্রতিদিন গড় লেনদেন হয়েছে ৩৩৮ কোটি টাকা, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৪১২ কোটি টাকা। এক সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন কমেছে ৭৪ কোটি টাকা। লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজারের মোট টার্নওভার। মোট টার্নওভার হয়েছে ১৩৯ মিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী সপ্তাহের তুলনায় ৩০ মিলিয়ন ডলার।

সপ্তাহের ব্যবধানে সামগ্রিকভাবে বাজারে দাম বেড়েছে মোট ৯৮ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম। বাকি ২৭২ কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

এক সপ্তাহে ব্যাংক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই দরপতন প্রায় ১৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৩৫ শতাংশ। মিচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এ পতন ১৫ শতাংশের বেশি।

সপ্তাহ ভালো যায়নি আইটি খাতেও। এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ৩২ শতাংশ। একইভাবে ওষুধশিল্পে পতনের পরিমাণ ছিল ২৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। প্রকৌশল এবং সিরামিক খাতে শেয়ারের দাম কমেছে যথাক্রমে ৪০ এবং ৪৫ শতাংশ।

সাপ্তাহিক লেনদেনে ইতিবাচক রিটার্ন এসেছে মাত্র চার খাতে। বাকি ১৯ খাতে রিটার্ন ছিল নেতিবাচক। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন এসেছে জেড ক্যাটাগরির কোম্পানি ডেলটা স্পিনার্স লিমিটেডে। পাঁচ দিনে কোম্পানিটির রিটার্ন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

অন্যদিকে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এক সপ্তাহে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ রিটার্ন হারিয়ে অবস্থান করছে দরপতনের শীর্ষে। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে শীর্ষে থাকা শেয়ারের মধ্যে নেই কোনো ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। শীর্ষ ১০-এর মধ্যে দরবৃদ্ধির ৬ কোম্পানিই ‘জেড’ ক্যাটাগরির এবং বাকি ৪ ‘বি’ ক্যাটাগরির।

অন্যদিকে দরপতনের শীর্ষে থাকা কোম্পানির মধ্যে নেই কোনো ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানি। ‘এ’ ক্যাটাগরির ৫ এবং ‘বি’ ক্যাটাগরির ৫ কোম্পানি ছিল এ সপ্তাহের তলানিতে থাকা শেয়ার।

ব্রোকারেজ হাউসগুলো বলছে, ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে দ্রুত মুনাফা তুলে ক্ষতি পোষাতে খারাপ শেয়ারে দেদারসে বিনিয়োগ করছে। এতে করে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমেছে বাজারে। অন্যদিকে লভ্যাংশ না দেয়া বা স্বল্প লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিতে ঝুঁকছে বিনিয়োগকারীরা।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement