সপ্তাহজুড়ে পুঁজিবাজারে পতন, শেষ দিনেও হতাশ বিনিয়োগকারীরা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭:১৬
সপ্তাহজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার একের পর এক পতন দেখেছে। লেনদেনের শেষদিনে সূচকের পতন না হলেও হয়নি কোনো উল্লেখযোগ্য উত্থান। এতে করে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার লেনদেন শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসই ছিল শূন্যের কোটায়, সূচক বেড়েছে মাত্র দশমিক ৩৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ৩ পয়েন্ট আর ব্লুচিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৭ পয়েন্ট। সারা সপ্তাহের লেনদেনে ডিএসইএক্স সূচক হারিয়েছে ৫৪ পয়েন্ট।
সূচকের বেহাল দশায় বিনিয়োগকারীরা বলছেন, পুরো সপ্তাহে ঢাকার পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবসে সূচক কমেছে। শেষ কার্যদিবসে সূচকের যা উত্থান হয়েছে, তা নিতান্তই নগণ্য। এভাবে চলতে থাকলে পুঁজিবাজারে অর্থলগ্নি দিনকে দিন কমতে থাকবে বলে জানান তারা।
সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের হিসাব অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে ১ হাজার ৬০০ বিনিয়োগকারী তাদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা তুলে নিয়েছেন, যা বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতার দিকেই ইঙ্গিত দেয়।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। ১২০ কোম্পানির দামবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ২১৯ কোম্পানির এবং দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া ‘এ’ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৬৩, কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে ৩০ কোম্পানির, কমেছে ৪৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
‘জেড’ ক্যাটাগরিতে ২৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ৪৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেন হওয়া মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ১৬ কোম্পানির দাম কমেছে, অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানি এবং বেড়েছে ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ব্লক মার্কেটে ৩৪ কোম্পানির ৩২ লাখ ৫৫ হাজার শেয়ার ১৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইতে দরবৃদ্ধির শীর্ষে আছে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। এক দিনের লেনদেনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ শতাংশের বেশি দাম হারিয়ে দরপতনের শীর্ষে উঠে এসেছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। শেষ কার্যদিবসে মোট ৩৮৯ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩১৪ কোটি টাকা।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারেও সূচকের বড় পতন হয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ২১১ কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২১ কোম্পানির, বেড়েছে ৬০ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৩০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সূচক কমলেও ডিএসই’র মতো সিএসইতেও বেড়েছে লেনদেন। বৃহস্পতিবার সিএসইতে মোট ১২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৪ কোটি টাকা।
সিএসইতে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে দরবৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ঢাকার পুঁজিবাজারেও মতো চট্টগ্রামেও দরপরতনের শীর্ষে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড। একদিনে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে ১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা