১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০১ মাঘ ১৪৩১, ১৪ রজব ১৪৪৬
`

গতবছরের প্রায় শতভাগ বীমাদাবি পরিশোধ সোনালি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের

২০৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি
-

গ্রাহকের বীমাদাবি সাত দিনের মধ্যে মিটিয়ে দেয়ার রেকর্ড অব্যাহত রেখেছে কোম্পানি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ২০২৪ সালের এ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধে ২০২৩ সালের তুলনায় প্রায় ২০৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে কোম্পানিটি। 

কোম্পানিটির কর্মকর্তারা জানান, ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষে ৩৮০ কোটির অধিক অর্থ বীমাদাবি হিসেবে পরিশোধ করেছে বাংলাদেশের চতুর্থ প্রজন্মের এই ইন্স্যুরেন্স কোম্পাটি।

কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৩ সালে সোনালী ইন্স্যুরেন্স ১২৪ কোটি টাকার কিছু বেশি বীমাদাবি পরিশোধ করেছিল। ২০২৪-এর শুধু ডিসেম্বরেই ৬৯ কোটি ৩৭ লাখ ২৭ হাজার ৫১৫ টাকার বীমাদাবি পরিশোধ করেছে কোম্পানিটি, যার মধ্যে রয়েছে মৃত্যুবীমা, মেয়াদপূর্তি সুবিধা, সহযোগী বীমা ও প্রত্যাশিত সুবিধা।

আইডিআরএ’র নভেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, ছয়টি কোম্পানি ৯৯ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বীমাদাবি পরিশোধ করেছে, যার মধ্যে ৯৯.১১ শতাংশ করেছে সোনালি লাইফ। সব থেকে ভালো পারফর্মিং ছয়টি কোম্পানির মধ্যে টাকার অংকে সব থেকে বেশি ৩৮০ কোটি টাকা বীমাদাবি পরিশোধ করেছে সোনালি।

সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের পরিচালক শেখ মো: ড্যানিয়েল বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় কাজ পরিচালনা, প্রিমিয়াম দেয়ার সহজ পদ্ধতি, আধুনিক ইআরপি সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ পরিচালনা, সঠিক সময়ে বীমাদাবি পরিশোধসহ অসংখ্য ইতিবাচক দিক রয়েছে, যা সোনালীকে করেছে অনন্য ও অপ্রতিরোধ্য। সোনালী লাইফের সবচেয়ে শক্তিশালী দিক হলো, গ্রাহকের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষা এবং তার ফলে অর্জিত প্রতিষ্ঠানের উপরে গ্রাহকের সন্তুষ্টি। প্রতিটি গ্রাহকের বীমাদাবি যথাসময়ে পরিশোধ করা সোনালী লাইফের অন্যতম মূল অঙ্গীকার। বীমাদাবী পরিশোধের অসংখ্য গল্প রয়েছে যা অনুপ্রেরণার।’

তিনি বলেন, ‘কারো অকাল মৃত্যু তার পরিবারে নিয়ে আসে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। কেউ বিপদে বন্ধুর মতো পাশে এসে দাঁড়ালে এই অন্ধকার ঘুঁচে যায় কিছুটা হলেও। তেমনি, সোনালী লাইফের কোনো গ্রাহক যদি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মারা যান সেই সংকটকালীন মুহূর্তে পাশে দাঁড়ায় সোনালী লাইফ।’

ভোলার চরফ্যাশনের নুর-এ আলম ২০২৪ সালের জুলাইয়ে আকস্মিক মৃত্যুবরণ করেন।

মরহুমের স্ত্রী বিবি জান্নাত বলেন, ‘বীমার পূর্ণ দাবি ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা তিন দিনের মধ্যে পরিশোধ করেছে সোনালী লাইফ।’ 

নুর-এ আলমের মতোই হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে সোনালী লাইফ আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। ১১ বছরের দীর্ঘ পথচলায় গ্রাহকসন্তুষ্টি রক্ষা করে জীবন বীমা জগতে স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করেছে সোনালী।

লক্ষ্মীপুরের দেলোয়ার হোসেন এ বছরের জুনে মৃত্যুবরণ করেন। সোনালীতে তার তিন সন্তানের সবার নামে একটি করে মোট তিনটি শিক্ষাবীমা করা ছিল।

দেলোয়ারের স্ত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, ‘মাত্র পাঁচ দিনের মধ্যে সোনালীর প্রতিনিধিরা আমাদের এসব দাবি বুঝিয়ে দিয়েছেন। আমার প্রতি সন্তান প্রতি মাসে ৩ হাজার ৩৩০ টাকা করে এখন বৃত্তি-ভাতা হিসাবে পাচ্ছে এবং ১০ বছর পর্যন্ত পাবে। মেয়াদপূর্তিতে গিয়ে সম্পূর্ণ বেনিফিট ও বোনাসসহ পলিসির পুরো টাকা পাবো। আর কোনো প্রিমিয়াম আমাদেরকে নতুন করে দিতে হবে না।’


আরো সংবাদ



premium cement