তামাকপণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিএনটিটিপি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২০:০৭
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাকপণ্যে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি)।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ স্বাগত জানানো হয়।
বিএনটিটিপি-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞরা দীর্ঘ দিন থেকে তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার মুদ্রাস্ফীতি অনুযায়ী বৃদ্ধি করার দাবি জানালেও, তা মানা হয়নি। ফলে দেশে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার বিষয়টি অনুভব করে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় যে হারে সব স্তরের সিগারেটের মূল্য ও কর হার বৃদ্ধি করেছে তা কিছুটা হলেও মুদ্রাস্ফীতিকে আমলে নেয়া হয়েছে। এতে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ইতিবাচক ও কার্যকর অবদান রাখবে।
নতুন অধ্যাদেশে নিম্ন স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম মাত্র ১০ টাকা বাড়িয়ে ৬০ টাকা করা হয়েছে। একইসাথে এ স্তরের করহার ৬০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ দেশে মোট সিগারেটের ৭০ শতাংশের বেশি ভোক্তা নিম্নস্তরের সিগারেটের। এছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার সিগারেট ১০ টাকা বৃদ্ধি করে ৮০ টাকা, উচ্চস্তরে ২০ টাকা বৃদ্ধি করে ১৪০ টাকা এবং অতিউচ্চস্তরের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য ২৫ টাকা বৃদ্ধি করে ১৮৫ টাকা করা হয়েছে। একইসাথে এ তিন স্তরের কর হার ৬৫ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৭ শতাংশ করা হয়েছে।
বিএনটিটিপি-এর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শতাধিক পণ্যের মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করা হলেও বিড়ি ও ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। কারণ, এগুলোর ভোক্তা অনেক বেশি এবং স্বাস্থ্যের ক্ষতিও বেশি। তবে সিগারেটের ক্ষেত্রে মূল্য ও কর বৃদ্ধি করলেই হবে না, সরকারকে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেটের বিক্রি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবনা থেকে তদূর্ধ্ব শব্দটি বাতিল করতে হবে। কারণ এগুলো কোম্পানির মুনাফা বৃদ্ধি ও রাজস্ব ফাঁকিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করছে।
সিগারেটের মূল্য ও করহার বৃদ্ধিতে নতুন অধ্যাদেশের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিএনটিটিপি-এর আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, ‘সিগারেটের মূল্য ও করহার বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা হলে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর অবদান রাখতো। পাশাপাশি তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি দেয়ার সুযোগ কমতো। তবে তামাক কোম্পানি যাতে নকল সিগারেটের মাধ্যমে কর ফাঁকি দিতে না পারে, এজন্য পাইকারি, খুচরা বিক্রয়কারী ডিলার, ডিস্ট্রিবিউটর ও বিক্রয়কেন্দ্রগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবারে করহার কমাতে হবে।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা