০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১, ৪ রজব ১৪৪৬
`

এস আলমের অবৈধ নিয়োগ দেয়া ৫৭৯ কর্মকর্তাকে বহিষ্কার নিয়ে এসআইবিএলের ব্যাখ্যা

-

এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগ দেয়া ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল)।

বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এস আলম গ্রুপের অবৈধ নিয়োগ দেয়া ৫৭৯ জন কর্মকর্তাকে ২৯ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে চাকরিচ্যুত করে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকের সার্ভিস রুলস মোতাবেক এবং নিয়োগপত্রের ধারা ১০ অনুযায়ী শিক্ষানবিশ সময়কালে ব্যাংক যেকোনো সময় বিনা নোটিশে যেকোনো কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করার অধিকার রাখে। সেই প্রেক্ষিতে এসব অবৈধ নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরিচ্যুত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে চাকুরিচ্যুত কর্মকর্তাদের একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ চাকরি পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে ব্যাংকের কাছে আবেদন করে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকের সাথে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে শুনানির আয়োজন করা হয়। শুনানি-পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে চাকরি পুনর্বহাল সম্ভব নয় উল্লেখ করে পত্র দেয়। এই চিঠি পাওয়ার পর গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে এবং ব্যাংকের সামনে লাগাতার অবস্থান করছে। যার ফলে ব্যাংকের গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন এবং সাধারণ জনগণের স্বাভাবিক চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, মতিঝিলের সর্বোচ্চ স্থাপনা সিটি সেন্টারের সামনে এ ধরনের কার্যক্রম এই ভবনে অবস্থিত অন্যান্য অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও স্বাভাবিক চলাফেরা বাধগ্রস্ত করছে।

আরো উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের পটিয়া এলাকার প্রায় দুই হাজার কর্মকর্তা নিয়মবহির্ভূত নিয়োগ পেয়ে এখনো এসআইবিএলে কর্মরত রয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এবং এস আলম গ্রুপের মদদে এই চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। তাদের এই পদক্ষেপ ব্যাংকিং খাত তথা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা হতে পারে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পত্রের মাধ্যমে অবহিত করা হয় এবং তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয় দ্রুত তারা এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম সাদিকুল ইসলাম এফসিএমএ’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিয়োগপত্রের ধারা মেনেই অবৈধভাবে এস আলম গ্রুপের নিয়োগ দেয়া কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর এস আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় তারা এ ধরনের বিশৃঙ্খলা করে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে, যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ এবং সাধারণ জনগণ তথা ব্যাংকের গ্রাহকরা এর ফলে হয়রানির শিকার হচ্ছেন, যা মোটেই কাম্য নয়।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রীয় মদদে এস আলম গ্রুপ দেশের ব্যাংকিং খাতে ভয়াবহ দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে চরম অরাজকতার সৃষ্টি করেছিল। বাংলাদেশ ব্যাংক যখন ব্যাংকিং খাত সংস্কারে ইতিবাচক ও প্রশংসনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তখন এস আলমের মদদপুষ্ট এক গোষ্ঠী আবারো অরাজকতা তৈরিতে সক্রিয় রয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি


আরো সংবাদ



premium cement
রাতের ভোটের ৩০ জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে সংস্কার কতটা তার ওপর জটিলতা না থাকলে মঙ্গলবার বিদেশ যাচ্ছেন খালেদা জিয়া ধ্বংসস্তুপ থেকে অর্থনীতি টেনে তোলার চ্যালেঞ্জে অন্তর্বর্তী সরকার সম্মিলিত কল্যাণমুখী সরকার দেশের কল্যাণ আনবে : ডা: শফিক ছাত্রদলকে পড়ায় মনোযোগী হতে বললেন মির্জা ফখরুল বিএফআইইউ প্রধান হতে এস আলম ও আ’লীগের সুবিধাভোগীদের দৌড়ঝাঁপ পদ ছাড়াই রূপালী ব্যাংকে ঢালাও পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু ভারতে প্রশিক্ষণ নিতে যাচ্ছেন নিম্ন আদালতের ৫০ বিচারক দুপুরে সূর্য উঁকি দিলেও রাত কেটেছে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সকল