১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ভারত থেকে এলো ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল

- ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে ২৯ দিনে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আনা হয়েছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া এ প্রক্রিয়ায় ৯৬৯টি ট্রাকের মাধ্যমে চালানটি আনা হয়।

গত ১৩ নভেম্বর প্রথমবারের মতো চালের আমদানি শুরু হয় এই বন্দরে। আমদানিকারকদের মতে, এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে চালের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তবে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, এখনো এ আমদানির কোনো প্রভাব বাজারে পড়েনি।

সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে চলতি অর্থবছরের ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা। আমদানি করা এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল।

রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর জানান, সরকারের শুল্কমুক্ত নীতির কারণে ব্যবসায়ীরা উৎসাহিত হয়ে চাল আমদানি করছেন। এতে দেশের বাজারে চালের সরবরাহ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

সাতক্ষীরার সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, মিনিকেট জাতের চাল ৫৮-৫৯ টাকা এবং মোটা স্বর্ণা ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও ভারতীয় চাল আমদানির পর বাজার স্থিতিশীল থাকলেও দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেনি।

সাতক্ষীরা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, ভারত থেকে চাল আমদানির ফলে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিগগিরই চালের দাম আরও কমবে এবং বাজার পরিস্থিতি ক্রেতাদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে।

ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে বাজারে এর বাস্তবিক প্রভাব দেখতে আরও কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আরো সংবাদ



premium cement