মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশের নিচে নামার আশ্বাস গভর্নরের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৫৮
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মূল্যস্ফীতির হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে আসবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশে নামিয়ে আনা। আমরা আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের মধ্যে এটিকে পাঁচ শতাংশে নামিয়ে আনব এবং আমি আশা করি, এটি সম্ভব হবে। আমরা এ লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতিগত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করছি।
শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদর দফতরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, নভেম্বর মাসে বাংলাদেশে সাধারণ পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট মুল্যস্ফীতির হার কিছুটা বেড়ে অক্টোবর ২০২৪ সালের ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ থেকে ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ বৃদ্ধি প্রধানত খাদ্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির কারণে হয়েছে, যা অক্টোবরের ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ থেকে বেড়ে নভেম্বরে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ হয়েছে। এ ছাড়াও, খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হারও সামান্য বৃদ্ধি পেয়ে নভেম্বরে নয় দশমিক ৩৯ শতাংশে পৌঁছেছে, যা অক্টোবরে ছিল নয় দশমিক ৩৪ শতাংশ।
ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘বন্যার কারণে প্রায় সারা দেশে খাদ্যশস্য ও সবজির উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে সবজি ও খাদ্যদ্রব্যের দাম চড়া। এটা শিগগিরই নেমে আসবে। আমরা যদি মূল্যস্ফীতি সাত শতাংশে নামিয়ে আনতে পারি। তাহলে আমরা ব্যাংকের সুদের হার এবং নীতির হার কমিয়ে আনব।’
তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা থাইল্যান্ডসহ অনেক দেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে। আমরা দেখেছি যে, মূল্যস্ফীতি একটি কাঙ্ক্ষিত স্তরে নামিয়ে আনতে কমপক্ষে ১২ মাস সময় লাগে। সুতরাং, এর জন্য আমাদের সেই নির্দিষ্ট সময়টা দিতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘যদিও মুদ্রানীতি কঠোর করা হয়েছে এবং অভ্যন্তরীণ ঋণ নিয়ন্ত্রণেও রাজস্ব ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতি এখনো কমেনি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই মুদ্রানীতি অত্যন্ত কঠোর করেছি। আমরা নীতি হার বাড়িয়েছি। আমি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং আমি মনে করি, জানুয়ারির তথ্য না আসা পর্যন্ত আমি দেখব। এ পর্যন্ত এটি হতাশাজনক ছিল।’ এসব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘বিগত সরকার তথ্য-উপাত্তে হেরফের করেছে বলে দু’টি কারণে এমন হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন আর কোনো বাধা নেই। সুতরাং, গত বছর কম ছিল, এ বছরটি বাস্তব এবং আমরা এ সময় অর্থনৈতিক নীতি কঠোর করার প্রক্রিয়াগুলোতে অর্থনীতির প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। এছাড়াও, মুদ্রানীতি কঠোর করার পাশাপাশি সাধারণ মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সাহায্য করার জন্য পেঁয়াজ, ভোজ্য তেল এবং চিনির মতো প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের আমদানি শুল্কও প্রত্যাহার করেছে সরকার।’
সূত্র : বাসস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা