১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের ১৪৯.০৩ কোটি টাকা মুনাফা

জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ের প্রথম প্রান্তিকের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন - ফাইল ছবি

২০২৪-২৫ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই ২০২৪-সেপ্টেম্বর ২০২৪) ১৪৯.০৩ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানি ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির মুনাফা হয়েছিল ২০২.০৭ কোটি টাকা।

সোমবার (১১ নভেম্বর) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৪২তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর এ তথ্য জানা গেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশী মুদ্রার মান হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি উচ্চ সুদ হারের কারণে চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির বিক্রয়ের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১২ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশী মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় কোম্পানিটি ৪৫.৮৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। পাশাপাশি আলোচ্য সময়ে বিক্রয় ও বিতরণ এবং ব্যাংক সুদজনিত খরচের বৃদ্ধি সার্বিকভাবে কোম্পানির মুনাফাতে প্রভাব ফেলেছে।

ফলে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪.৯২ টাকা, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ৬.৬৭ টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানিটির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৮২.৮০ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৮৪.২২ টাকা। একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা কিছুটা হ্রাস পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২১.৩৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ২২.৫৮ শতাংশ।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩.৯২ টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ১৬.৬৮ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির দেনাদারের কাছ থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এর প্রধান কারণ- ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করার পাশাপাশি স্থিতিশীল ও টেকসই বাজার নিশ্চিত কল্পে ক্রেডিট সহায়তা কিছুটা বাড়িয়েছে কোম্পানি। এ দিকে, আলোচ্য সময়ে বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায় সরকারি কোষাগারের পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকারীদের অর্থ প্রদানের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এনওসিএফপিএস হ্রাস পেয়েছে। যদিও আলোচ্য সময়ে প্রচুর পরিমাণ কাঁচামাল ক্রয়ের কারণে টেকসই বিক্রয় প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।

বিগত দিনেও ওয়ালটন ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশী মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ সফলভাবে কমাতে সক্ষম হয়েছিল। সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকায় আগামীতেও বর্ণিত ক্ষতি কমে আসবে বলে তারা দৃঢ় আশাবাদী। পাশাপাশি দেনাদারদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধিতে আরো অধিক জোর দেয়া বলে জানায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।


আরো সংবাদ



premium cement
ইমরানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তান হলের সিট বণ্টন নিয়ে উত্তপ্ত কুবি, প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করাচি থেকে প্রথম সরাসরি কার্গো পৌঁছেছে চট্টগ্রামে মুখরোচক খাবারে সরগরম লক্ষ্মীবাজারের স্ট্রিট ফুড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে ভারতের লাভ? মন্ত্রিসভায় চীন-পাকিস্তানবিরোধী ব্যক্তিরা! লড়াই করেও ভারতের কাছে হেরে গেল দ. আফ্রিকা মণিপুরে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যবোঝাই ট্রাকের কনভয়ে আগুন ভারতে 'বুলডোজার-শাসন' নিষিদ্ধ করল সুপ্রিম কোর্ট ৪ উপদেষ্টার আশ্বাসে হাসপাতালে ফিরলেন আহতরা পঞ্চদশ সংশোধনীর লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র ধ্বংস করা পৃথিবীর সুরক্ষায় ৩ শূন্যের জীবনধারা গড়তে হবে

সকল