২১ অক্টোবর ২০২৪, ৫ কার্তিক ১৪৩০, ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিয়ে সুখবর

- ছবি : নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং স্থিতিশীল হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

রোববার ইউএনবিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'আগের সরকারের আমলে রিজার্ভ প্রতি মাসে ১.৩ বিলিয়ন ডলার করে কমে আসছিল, তবে এখন তা একটি ইতিবাচক প্রবণতাঢ ফিরছে।’

তিনি বলেন, ‘সার, বিদ্যুৎ ও আদানি-শেভরনের বকেয়া পাওনার জন্য এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে।’

শুধু গত দুই মাসেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক জ্বালানি ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় সেবার বকেয়া ১.৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করে অপরিশোধিত বিল ২.৫ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭০০ মিলিয়ন ডলারে নামিয়ে এনেছে।

৮ অক্টোবর পর্যন্ত বিপিএম৬ হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ১৯.৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে এবং মোট রিজার্ভ ২৪.৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাথমিক লক্ষ্য আগামী দুই মাসের মধ্যে বাকি ঋণ পরিশোধ করে নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে ঋণমুক্ত হওয়া। ‘এটি অর্জন করা সম্ভব হলে, বাজারে তারল্য পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।’

এই বকেয়া পরিশোধ করলে অর্থনীতির উপর চাপ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে, যার ফলে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ ত্বরান্বিত হবে।

অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

গভর্নর অবশ্য দেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন; যা এখন ১০৩ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এ কারণে ঋণ পরিশোধের চাপ ক্রমাগত বাড়ছে।

তা সত্ত্বেও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমান ঋণের চ্যালেঞ্জ সফলভাবে কাটিয়ে উঠতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের রিজার্ভ গণনা পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে, গত ৮ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার নেট রিজার্ভ ছিল ১ হাজার ৯৮২ কোটি ডলার, আর গ্রস বা মোট রিজার্ভ ছিল ২ হাজার ৪৯৭ কোটি ডলার।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement