২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ সপ্তম

‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার। - ছবি : নয়া দিগন্ত

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঝুঁকিপূর্ণ শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ সপ্তম। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জলবায়ু অভিযোজন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ২০৫০ সাল নাগাদ এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।

মঙ্গলবার (৬ জুন) রাজধানীর কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট আয়োজিত ‘জলবায়ু ঝুঁকি নিরসন এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা' শীর্ষক সেমিনার এ তথ্য জানানো হয়।

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ফায়জুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সদস্য মালিক ফিদা এ খান।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত। আলোচক হিসেবে ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক। বক্তব্য রাখেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেইঞ্জ জার্নালিস্ট'স ফোরামের মহাসচিব আসাদুজ্জামান সম্রাট, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী। এ সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়াধীন দফতরসমূহ, বিভিন্ন বেসরকারি গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠান) ড. মো: মারুফ নাওয়াজ। সেমিনার পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক (সংযুক্ত) তানিয়া খান ।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এ প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিরসনে জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি হ্রাস এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।

ক্লাইমেট ভালনারেবল ইনডেক্স অনুযায়ী বিশ্বের ১৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম । জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি ও অন্যান্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় একটি বলিষ্ঠ অভিযোজন পরিকাঠামো গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়, জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং ন্যাপ সম্পর্কে জনগণের ভূমিকা সম্পর্কে জানাতে সাংবাদিকদের সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ ড. আইনুন নিশাত তার আলোচনায় বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন পরিকল্পনার বাস্তবায়নে সংবাদ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এ লক্ষ্যে সমন্বিত পানি সম্পদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হতে সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়ের তথ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সঞ্জয় কুমার ভৌমিক বলেন, জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবেলা এবং জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। এর সাথে যদি গণমাধ্যম আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ দুর্যোগ মোকাবেলায় আরো সাফল্য অর্জন করতে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement