ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানামারের স্থলভাগে অবস্থান করছে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ মে ২০২৩, ১৮:০৯
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, ‘ঘূর্ণিঝড় মোখার কেন্দ্র রোববার বিকেল ৩টায় কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে মিয়ানমারের স্থলভাগে অবস্থান করছে।’
অধিদফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড়টি আরো উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে মিয়ানমারের সিটুয়ের কাছ দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং ধীরে ধীরে দুর্বল হতে পারে।’
বুলেটিনে বলা হয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার কারণে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।
এর আগে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে এবং চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর, মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
কক্সবাজার ও এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে।
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে সাত ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের নিম্নাঞ্চল এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ প্লাবিত হতে পারে।
উপকূলীয় জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে তিন থেকে পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের কারণে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পার্বত্য অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা