২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘বিশেষ লকডাউন’ শিথিল করা হচ্ছে

- নয়া দিগন্ত

করোনাভাইরাসের উর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জে দুই সপ্তাহের বিশেষ লকডাউনের পর কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আগামী সাত দিনের জন্য শিথিল করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বিবিসিকে বলেছেন, করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ইতিবাচক হারে কমে যাওয়ার ফলে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

তিনি বলেন, র‍্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট গতকাল ছিল ১৯%। আজ সোমবার এই হার ১৮ শতাংশে নেমে এসেছে। এছাড়া আরটিপিআর টেস্টে প্রতি ২২ জনে সাতজনকে পজিটিভ পাওয়া গেছে গতকাল।

তিনি বলেন, ‘করোনার যে ঊর্ধ্বগতি সেটা পজেটিভ ভাবে লিমিট করা গেছে তাই আজ থেকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

এই সিদ্ধান্ত আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে আগামী সাত দিন কার্যকর থাকবে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মঞ্জুরুল হাফিজ।

যেসব স্থানে শিথিল করা হয়েছে
- সব দোকান, মার্কেট সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানে কেনাকাটা করা যাবে।
- মোটরসাইকেলে একজন, রিকশায় একজন যাত্রী, অটোরিকশায় দুইজন যাত্রী নিয়ে জেলার ভিতরে যাতায়াত করতে পারবে।
- আমের ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট কাগজপত্র দেখিয়ে জেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার মারাত্মক আকার ধারণ করার পর জেলাটিতে আলাদা করে ২৪ মে সাত দিনের লকডাউন জারি করেছিল স্থানীয় প্রশাসন।

সে সময় শনাক্তের হার ছিল ৫৫%, অর্থাৎ প্রতি ১০০টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর পর লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়।

জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, এই দুই সপ্তাহের বিশেষ লকডাউনের সময় শতভাগ চেষ্টা করা হয়েছে জেলার মানুষজনকে স্বাস্থ্যবিধি মানার এবং মাস্ক পরানোর।

যার ফলে ইতিবাচক ফল আসছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করা হলেও জেলাটিতে অন্য কোনো জেলা থেকে কোনো ধরনের পরিবহন প্রবেশ করতে পারবে না।

সূত্র : বিবিসি


আরো সংবাদ



premium cement