২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

প্লাজমা ব্যবহারে সংক্রমণের কোনো ঝুঁকি নেই : এমএ খান

প্লাজমা ব্যবহারে কোনো সংক্রমণের ঝুঁকি নেই : এমএ খান - ছবি : সংগৃহীত

কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জীবন বাঁচানোর লক্ষ্যে পরীক্ষামূলকভাবে কনভেলেসেন্ট প্লাজমা থেরাপি (সিপিটি) দিতে শনিবার থেকে প্লাজমা সংগ্রহ শুরু করেছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল। হাসপাতালের হেমাটোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ খান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা দুজন চিকিৎসকের কাছ থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করেছি যারা কোভিড-১৯ রোগ থেকে সুস্থ হয়েছেন।’

সিপিটির মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার ব্যক্তির রক্তের প্লাজমা আহরণ করে অসুস্থ রোগীর মধ্যে প্রয়োগ করা হয়। অধ্যাপক খান বলেন, ‘একজনের রক্ত থেকে নেয়া প্লাজমা দুজন রোগীর জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও সংক্রমণের ঝুঁকি নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ৪৫ জন কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় সিপিটি দেব।’

এছাড়া আরও ৪৫ রোগীকে তুলনামূলক পরীক্ষার জন্য আলাদা রাখা হবে বলে তিনি যোগ করেন। শিগগিরই এ পদ্ধতির প্রয়োগ শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্লাজমা পাওয়াই বড় চ্যালেঞ্জ। ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, চীন এবং আরো কয়েকটি দেশ প্রাণহানি কমাতে কোভিড-১৯ রোগীদের প্লাজমা থেরাপি দেয়া শুরু করেছে। এর আগে বিশ্বের চিকিৎসকরা এইচ১এন১ ইনফ্লুয়েঞ্জা (স্প্যানিশ ভাইরাস), ইবোলা, সার্স-১ এবং মার্স ভাইরাসের জন্য নির্দিষ্ট চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারের আগে কার্যকরভাবে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করেছিলেন। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩১৪ জন মারা গেছেন।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement