মশা নিধন কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে : ডিএনসিসির সিইও
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৭:০৫
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে একসাথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সব ওয়ার্ডে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচি শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচি ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পরিচালনা করা হবে।
সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশা নিধন কর্মসূচির প্রথম দিনে ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলেই একসাথে জনসচেতনতা ও মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বাড্ডা এলাকায় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম সপ্তাহব্যাপী বিশেষ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
এসময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি কাজ করছে। এই সময়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে, তাই ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে একসাথে মশা নিধন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এছাড়া ডিএনসিসির মশা নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে৷
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এই কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে। আমাদের সাথে মাঠে আছে বিএনসিসি, স্কাউট ও গার্লস গাইডের সদস্যরা। সবার সম্পৃক্ততায় এই কার্যক্রম ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।’
মীর খায়রুল আলম বলেন, ‘জনগণের সহযোগিতা পেলে ডেঙ্গু সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। বাড়িতেই জমে থাকা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। আমাদের কর্মীরা বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার করে ও ওষুধ ছিটায়। কিন্তু বাড়ির ভেতরে আমাদের কর্মীরা কাজ করতে পারে না৷ তাই নিজেদের বাড়িতে ফ্রিজ, এসি, ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
ডিএনসিসির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম সারা বছর জুড়েই চলেছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিতসহ সব মানুষকে সম্পৃক্ত করে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে পদক্ষেপ নিয়েছি। এছাড়া বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবে৷ শুরুতে সবাইকে সচেতন ও সতর্ক করা হবে। পরে যদি অবহেলার কারণে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায় তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া আগে ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মশক নিধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকি করত। বর্তমানে অনেক কাউন্সিলররা অনুপস্থিত। তাই কার্যক্রম তদারকি যেন ব্যহত না হয় সেজন্য ডিএনসিসির বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে তদারকি টিম করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিয়ে মেরুল বাড্ডা ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে জনসচেতনতামূলক র্যালি করেন। র্যালি শেষে কয়েকটি বাড়িতে পরিদর্শন করেন এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী, অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জুলকার নায়নও উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রুবাইয়াত ইসমত অভীক।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা