২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে বাংলাদেশ হস্তক্ষেপ করবে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন - ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বিক্ষোভ চলাকালীন মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তে অন্তর্বর্তী সরকার হস্তক্ষেপ করবে না।

তিনি মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে চাই যে তারা (জাতিসঙ্ঘ দল) স্বাধীনভাবে তাদের তদন্ত পরিচালনা করতে পারে। আমরা হস্তক্ষেপ করব না।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘জাতিসঙ্ঘের তদন্ত দল তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে, এই সময় তারা শিগগিরই বাংলাদেশে তাদের তদন্ত শুরু করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের দল প্রচার এড়াতে পছন্দ করে কারণ তারা নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করতে চায়।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘জাতিসঙ্ঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন বাংলাদেশ সরকারের কাছে সহায়তার অনুরোধ জানালে সরকার সহায়তা দেবে।’

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা স্পষ্ট করেন, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দল, সম্প্রতি দেশে এসেছে, এখনো তাদের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি।

জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর জোর দিয়ে বলেছে, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন কোনো ফৌজদারি তদন্ত নয় এবং এটি যেকোনো জাতীয় বিচারিক প্রক্রিয়া থেকে আলাদাভাবে কাজ করে।

তদন্তটি গোপনীয় এবং দলটি তদন্তের সময় মিডিয়ার সাথে জড়িত হবে না।

জাতিসঙ্ঘ মানবাধিকার অফিসের একজন মুখপাত্র এর আগে বলেন, ‘আমরা সত্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আবেদন করছি।’

বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমন্ত্রণে জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং মিশন গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত পরিচালনা করছে।

ইউএন হিউম্যান রাইটস দপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং দলকে তথ্য প্রতিষ্ঠা, দায়িত্ব চিহ্নিত করা, মূল কারণ বিশ্লেষণ এবং অতীতের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে বাংলাদেশের জন্য সুনির্দিষ্ট সুপারিশ পেশ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংস্থাগুলোকে বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে ১ জুলাই থেকে ১৫ অগাস্ট ২০২৪ সময়কালে মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং অপব্যবহার সম্পর্কিত সামাজিক মিডিয়া বা অন্য জনপরিসরে ইতোমধ্যেই নেই এমন তরতাজা তথ্য সরবরাহ করার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

তথ্য পাঠাতে হবে OHCHR-FFTB- Submissions@un.org-এ পাঠাতে হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

দলটি ভুক্তভোগী, আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং প্রত্যক্ষর্শীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পরিকল্পনা করেছে।

ঘটনাস্থলের পরীক্ষা এবং তথ্য বিশ্লেষণের পর, জাতিসঙ্ঘের মানবাধিকার দফতর একটি বিশদ মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করবে যার মধ্যে মূল ফলাফল, উপসংহার ও সুপারিশ থাকবে।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement