০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জিলহজ ১৪৪৫
`

দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সাথে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কথা বলছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। - ছবি : ইউএনবি

সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করেই ভারতের সাথে নতুন সমঝোতা স্মারক সই ও পুরনো সমঝোতা স্মারক নবায়ন করেছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিএনপি মহাসচিব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের পার্থক্য না বুঝে, না পড়েই মন্তব্য করছেন। কারণে-অকারণে সরকারের বিরোধিতা করাই তাদের কাজ।

ভারতের সাথে সম্পর্ককে পারস্পরিক মর্যাদাপূর্ণ বলে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তৃতীয়বার সরকার গঠনের পর প্রথম সরকারপ্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ‘ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধে ভারত যেভাবে সহায়তা করেছে, তাদের সৈনিকরা যেভাবে জীবন দিয়েছে, আমাদের প্রায় এক কোটি মানুষকে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে, তাতে তাদের সাথে আমাদের যে সম্পর্ক, তা অবিচ্ছেদ্য।’

মন্ত্রী আরো বলেন,‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, তারা প্রতিবেশীদের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করতে পারেনি। বিএনপিনেত্রী বেগম জিয়া নিজেই বলেছেন যে তিনি ভারতে গিয়ে গঙ্গা চুক্তির কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন আর ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গঙ্গা চুক্তি করেছেন বিধায় আমরা পানি পাচ্ছি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এর ফলে নেপাল থেকে ভারতের ওপর দিয়ে ট্রান্সমিশন লাইন দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানি করতে পারছে বাংলাদেশ। এছাড়াও ভুটানের সাথেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।

ড. হাছান বলেন, দুই দেশের মধ্যেকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণেই এ বছর কুরবানির আগে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে ভারত।

এ সময় ভারতের সাথে ‘কানেক্টিভিটি' নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ চালু আছে। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক রেল ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে কাজ চলছে।

তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলোর সাথে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।’

পরে বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে‘সিনিয়র অফিশিয়ালস মিটিং'য়ে সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফর পরবর্তী কার্যক্রম, চীনে আসন্ন দ্বিপক্ষীয় সফরের প্রস্তুতিসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সাথে সুসমন্বয়, দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকি, প্রবাসী সেবার মান বাড়ানো, মিশনগুলোর ট্রেড টার্গেট বাস্তবায়ন ও কার্যক্রম ইনস্পেকটর জেনারেল অভ মিশনসে'র মাধ্যমে পরিদর্শনসহ মন্ত্রণালয় ও এর মিশনগুলোর নানা কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন পরিচালিত এ সভায় আরো ছিলেন অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. নজরুল ইসলাম ও সব উইংয়ের মহাপরিচালকরা।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement