১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানে চীনের সমর্থনের আশ্বাস

ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানে চীনের সমর্থনের আশ্বাস - ছবি : বাসস

চীন ব্রিকসে যোগদানের জন্য বাংলাদেশের আগ্রহের প্রশংসা করেছে এবং এ বিষয়ে বেইজিংয়ের সক্রিয় সমর্থনের আশ্বাস দিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বলা হয়, সোমবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ১৩তম দফার দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক আলোচনায় এ আশ্বাস দেয়া হয়।

ব্রিকস হল ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত নিয়ে গঠিত একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং চীনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ভাইস মিনিস্টার সান ওয়েইডং আলোচনায় নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।

এতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সুসংহতকরণ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রচার এবং বহুপাক্ষিক প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতার সুযোগ খুঁজে বের করার ওপর আলোকপাত করা হয়।

চীনের ভাইস মিনিস্টার গত ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান এবং তার যোগ্য নেতৃত্বে বাঙালি জাতি‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।

এদিকে উভয় পক্ষ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফর নিয়ে যৌথভাবে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

পররাষ্ট্র সচিব মোমেন তার সূচনা বক্তব্যে উল্লেখ করেন, একই মূল্যবাধ, পারষ্পরিক শ্রদ্ধা এবং অভিন্ন আকাক্সক্ষার ভিত্তিতে বাংলাদেশ চীনের সাথে তার সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয়।

তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ এবং ১৯৫৭ সালের চীন সফরের কথা স্মরণ করে আসন্ন ভিভিআইপি সফরের আগে চীনা ভাষায়‘আমার দেখা নয়া চীন’ বইটি প্রকাশিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

এছাড়া তিনি ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা তুলে ধরেন। যা সম্পর্ককে ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত করেছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব অবকাঠামোগত উন্নয়নে চীনকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পও রয়েছে।

তিনি বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন এবং চীনে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রবেশাধিকারের বিদ্যমান কাঠামো সহজতর করতে চীনের সহায়তা কামনা করেন।

মোমেন মহামারী, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশ্বব্যাপী সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
তিনি বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসনে চীনের অব্যাহত সমর্থনের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

চীনের ভাইস মিনিস্টার বাংলাদেশী প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় ‘রিমেল’-এর কারণে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য গভীর সমবেদনা জানান।

তিনি ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর এবং গত বছরের ব্রিকস সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার আলোচনার কথা স্মরণ করেন।

ঢাকা ও বেইজিং দুই দেশের দূতাবাস উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনের জন্য একসাথে কাজ করতে পারে বলে ওয়েইডং উল্লেখ করেন।

তিনি উচ্চ পর্যায়ের আদান-প্রদান এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দেন।

তিনি বাংলাদেশ থেকে আম ও অন্যান্য কৃষিপণ্য আমদানিতে এবং যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে সহায়তায় একযোগে কাজ করতে চীনের আগ্রহের কথা জানান।

চীনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

উভয় পক্ষ দুই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে পরবর্তী দ্বিপক্ষীয় রাজনৈতিক আলোচনা আগামী বছর ঢাকায় অনুষ্ঠানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলে চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জসিম উদ্দিন, ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা ছিলেন।

অপরদিকে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারাও এ আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
৪৭তম বিসিএসের আবেদনের নতুন সময় জানালো পিএসসি জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসা সহায়তার আশ্বাস সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার মানবসেবার জন্যই হাসপাতাল করেছি : জামায়াত আমির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামালের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত চট্টগ্রামে সাবেক এমপি মোতালেবসহ ২৪৮ জনের নামে মামলা চিন্ময়ের জামিন শুনানি জানুয়ারিতেই ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ, শুরু ১০ এপ্রিল ডেঙ্গুতে আরো ৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৪৪ ধবলধোলাই এড়াতে ৩ পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ নববর্ষের প্রকাশনা ইসলামী শ্রমনীতির প্রচারে ভূমিকা রাখবে : শামসুল ইসলাম ‘শেখ হাসিনা দেশে সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরি করতে চায়’

সকল