বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহী কানাডা
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ মে ২০২৪, ২২:২০
বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আগ্রহ জানিয়েছে কানাডা।
রোববার শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে মন্ত্রণালয়ে তার অফিসকক্ষে সাক্ষাৎকালে এ কথা জানান কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি পল জে থপ্পিল।
তার নেতৃত্বে সাক্ষাতে আরো ছিলেন দেশটির একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল।
সাক্ষাৎকালে কানাডার ইন্দো-প্যাসিফিক বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেন।
প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে বলে জানান।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ যা কানাডাসহ বৃহৎ ও উন্নত দেশগুলোকে আকর্ষণ করেছে। বাংলাদেশে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ অনেক দেশ বৃহৎ আকারে বিনিয়োগ করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে রয়েছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ, কম মজুরিতে দক্ষ শ্রমিক এবং প্রয়োজনীয় অবকাঠামো।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন আরো বলেন, বর্তমান সরকার যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বাড়ানো অবকাঠামো উন্নয়নে মনোনিবেশ করেছে। এরমধ্যে পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালসহ বেশ কয়েকটি বড় উন্নয়ন প্রকল্প সাফল্যের সাথে বাস্তবায়ন করা হয়েছে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ আরো বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য।
এ সময় কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি বলেন,‘আমরা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশে বড় আকারে বিনিয়োগে আগ্রহী। এর মাধ্যমে দু'দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার হবে ও উভয় পক্ষ লাভবান হবে।’
তিনি আরো বলেন, শ্রমিক অধিকার রক্ষা ও শ্রম নীতি প্রতিপালন এবং ট্যারিফ নির্ধারণের মতো বিষয়গুলো আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
থপ্পিল বলেন, কানাডা বহুসংস্কৃতিবাদ ও বৈচিত্র্যে বিশ্বাসী। বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির মানুষ সেখানে দীর্ঘকাল ধরে সহাবস্থান করে আসছে।
কানাডাতে দক্ষ ও বিশ্বমানের সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম রয়েছে উল্লেখ করে কানাডার বাণিজ্য প্রতিনিধি বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা সেক্টরে দেশটির কাজ করার ইচ্ছা জানান।
এ সময় কানাডার অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান বাংলাদেশের শিল্পখাতের সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগানো ইচ্ছা প্রকাশ করেন শিল্পমন্ত্রী।
পোশাক শিল্প ছাড়াও বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস্, চামড়া ও জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ শিল্প যথেষ্ট সম্ভাবনাময় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা), বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ও বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশে শিল্পায়ন ও সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নে সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন করা হয়েছে।
শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান বিটাক শিল্পখাতে দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ প্রদান এবং বিএসটিআই গুণগত মানের পণ্য উৎপাদনে নিবিড় মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।
তিনি এ সময় কানাডাকে বাংলাদেশের শিল্পখাতে দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানান।
এ সময় আরো ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, এস এম আলম ও কামরুন নাহার সিদ্দীকা।
সূত্র : ইউএনবি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা