০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খোঁজার ওপর মোমেনের গুরুত্বারোপ

মিয়ানমার বিষয়ক মালয়েশিয়ার উপদেষ্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান তান শ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন - ছবি : সংগৃহীত

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকার রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হওয়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

তিনি বলেন, ‘নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মাতৃভূমিতে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব রয়েছে।’

মোমেন বলেন, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের পার্লামেন্ট সদস্যদের মধ্যে একটি পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম গঠনে উভয় পক্ষ নীতিগতভাবে রাজি হয়েছে। এটা কিভাবে বাস্তবায়ন করা যায়- তা নিয়ে উভয় দেশ কাজ করবে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনে মিয়ানমার বিষয়ক মালয়েশিয়ার উপদেষ্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান তান শ্রী সৈয়দ হামিদ আলবারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন।

বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি আছে। বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গারা তাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতে উদগ্রীব। বাংলাদেশ সরকারও তাদেরকে ফেরত পাঠানোর জন্য সবধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- সবপক্ষ রাজি থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কেন শুরু হচ্ছে না? কেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হচ্ছে না?- তা খতিয়ে দেখা দরকার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সকল সদস্যদের নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হচ্ছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জরুরি।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়িত হলে এ অঞ্চলে অনিশ্চয়তা ও অস্থিতিশীলতা দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা শুধু মিয়ানামার ও বাংলাদেশেরই নয়, বরং এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের জন্যও বড় সমস্যার কারণ। এমনকি এটি বৈশ্বিক সমস্যা হিসেবেও আবির্ভূত হওয়ার সংশয় রয়েছে।

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমার সরকারের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের সাথেও নিয়মিতভাবে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

মালয়েশিয়ায় কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও কর্ম পরিবেশ নিশ্চিত করতে তিনি মালয়েশিয়া সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

জবাবে তান শ্রী সৈয়দ হামিদ আলবার মালয়েশিয়ায় যেতে ইচ্ছুক অভিবাসী কর্মীদেরকে মালয়েশিয়া সরকারে ই-ভিসা, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) বহির্গমন ছাড়পত্র এবং এয়ারলাইনসের ভ্রমণ টিকিটসহ যাবতীয় ডকুমেন্টের সঠিকতা যাচাই-বাছাইপূর্বক কর্মী প্রেরণের আহ্বান জানান।

বৈঠকে মিয়ানমার বিষয়ক মালয়শিয়ার উপদেষ্টা গ্রুপের চেয়ারম্যান তান শ্রী সৈয়দ হামিদ বিন আলবার মিয়ানমারের নির্যাতিত বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

প্রধানমন্ত্রী মানবিক দিক বিবেচনা করে বাংলাদেশে তাদের আশ্রয় দিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের নিজ ভূমিতে ফিরে যেতেই হবে।

মালয়শিয়ার প্রাক্তণ মন্ত্রী আরো বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের একমাত্র সমাধান হচ্ছে নিরাপদ, স্বেচ্ছামূল আর মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন সফল করতে মালয়েশিয়া সরকার বাংলাদেশের পাশে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।
আগামী বছর মালয়েশিয়া আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে। সাক্ষাতকালে মিয়ানমার বিষয়ক মালয়েশিয়ার উপদেষ্টা গ্রুপের অন্যান্য সদস্য ছাড়াও ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন : তাজুল ইসলাম চিফ প্রসিকিউটর আবুধাবির কারাগার থেকে দেশে ফিরেছেন ১৪ বীর কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা : কনস্টেবল গ্রেফতার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্তগুলো যৌক্তিক : ফখরুল ‘একটি চক্র জামায়াত আমিরের বক্তব্য নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে’ অস্ত্র জমা দেয়নি শামীম ওসমান ও গাজী পরিবার এবি পার্টির উপদেষ্টার পদ ছাড়লেন ব্যারিস্টার রাজ্জাক কর্মকর্তাদের তালিকা চাওয়া নিয়ে বিতর্কে মন্ত্রণালয়ের দুঃখ প্রকাশ আশুলিয়ায় শ্রমিক দলের সমাবেশে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৫ রূপগঞ্জে পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে হত্যা ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা না দেয়া ডাক্তারদের সনদ বাতিলের দাবি ড্যাবের

সকল