জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় একসাথে কাজ করবে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র : পরিবেশমন্ত্রী
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৫ মে ২০২৪, ১৭:৪৭
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র একসাথে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ের নিজ দফতরে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লুয়ের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী।
বৈঠকে আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের যে সম্পর্ক আছে, এটাকে কিভাবে আগামীতে আরো এগিয়ে নিতে পারি মূলত আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি। সেখানে স্বাভাবিকভাবে যে বিষয়গুলোতে আমাদের অবস্থান অভিন্ন যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং সেটার অভিঘাত মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে দুই দেশ আরো কিভাবে কাজ করতে পারে, আমরা সেটা নিয়ে আলাপ করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, যখনই আমরা জলবায়ু নিয়ে কথা বলি পরিবেশের বিষয়টা চলে আসে। পরিবেশ, বন এবং জীববৈচিত্র্য। আমরা চাচ্ছি আমাদের আগামী দিনের যে সহযোগিতা সেটাকে হয়তো আমরা একটা কাঠামোর মধ্যে আনার চেষ্টা করব। আমাদের ওয়ার্কিং গ্রুপের মতো কিছু একটা থাকতে পারে। আমরা ৩ থেকে ৪ অথবা ৫ বছরের একটা কর্মসূচি নেব। প্রতিবছরের সেই কর্মসূচির অধীনে আমরা কি কি কাজ করব সেটা থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা যেটা বলেছি জলবায়ু অর্থায়নের যে বিষয়টা আছে, সেখানে বিশেষ করে বিশ্ব ব্যাংক ও এডিবি আছে। আগামী দিনে তারা কীভাবে জলবায়ুতে অর্থায়ন করবে, সেটা একটা বড় বিষয়। কেননা আমরা যদি প্যারিস চুক্তির আলোকে দেখি সেখানে চাহিদাটা ছিল বিলিয়ন ডলারের। এখন চাহিদা চলে যাচ্ছে ট্রিলিয়ন ডলারে। এখন ট্রিলিয়ন ডলার তো আর কোনো সরকারের কাছ থেকে আসবে না। মূলত আসবে এই ধরনের ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাত থেকে।
মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছু বিষয় আছে যার একটা স্থায়িত্ব থাকে। আবার কিছু কিছু বিষয় তৈরি হতে পারে, যেটা বিশেষ একটা প্রেক্ষাপটে তাদের কিছু অবস্থান থাকতে পারে। আমরা আজ সেটা আলাপ করেছি। আমাদের যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, যেগুলো আমরা মনে করি অভিন্ন- সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে তাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। তাদের হয়তো কিছু অস্বস্তি ছিল। কিন্তু সেটা তো আমাদের মধ্যে ছিল না। আমরা আমাদের নির্বাচন করেছি। সেটা ওই সময়ের জন্য তাদের একটা অবস্থান ছিল, আমি এটাকে এভাবে দেখি। এখন তো ওই পর্বটা আর নেই। আবার ইলেকশন হবে চার বা সাড়ে চার বছর পরে। তো এখন তো ইলেকশনের বিষয়টি এই আলোচনায় প্রাসঙ্গিক না।
আর আমি প্রথমেই বলেছি, আমরা সামনের দিকে কিভাবে আমাদের সম্পর্কটাকে আরো সুদৃঢ় করব, সেটা নিয়েই মূলত আলোচনা হয়েছে।
এদিকে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে একসাথে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, পরিবেশমন্ত্রীর সাথে আমাদের চমৎকার আলোচনা হয়েছে। পরিবেশ সুরক্ষায় আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। জলবায়ু পরিবর্তনে কিভাবে একসাথে কাজ করা যায়, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি।
ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন একসাথে কাজ করার কথা জানান অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু। এ সময় মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : ইউএনবি