২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬ পৌষ ১৪৩১, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

প্রধানমন্ত্রীর সাথে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

- ছবি : সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গণভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার রুশ প্রতিপক্ষকে স্বাগত জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ল্যাভরভ বলেন, তারা রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও আলোচনা করেছেন।

তিনি বলেন, তারা সমাধানের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অব্যাহত আলোচনাকে সমর্থন করে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্প- রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিষয়েও কথা বলেন এবং এর ধারাবাহিকভাবে বাস্তবায়নের ওপর জোর দেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে আসায় আমরা খুবই আনন্দিত। রাশিয়ার সাথে আমাদের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

তিনি বলেন, তারা রোহিঙ্গা ইস্যু, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং রাশিয়ায় বৃহত্তর বাজারে প্রবেশাধিকার নিয়ে আলোচনা করেছেন।

মোমেন বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই আলোচনা হোক এবং আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হোক।’

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুদিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকায় এসেছেন। যা পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সন্ধ্যা ৬টা ১৭ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন তার রুশ প্রতিপক্ষকে স্বাগত জানান।

স্বাধীনতার পর রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।

ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস জানিয়েছে, দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়নের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে মতামত বিনিময় করবে।

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর শেষ করে ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবেন।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২২তম আইওআরএ মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগদানের জন্য ২৩ নভেম্বর ল্যাভরভের বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এই সফর বাতিল করা হয়।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন ও তার রুশ সমকক্ষ সের্গেই ল্যাভরভ টেলিফোনে আলাপ করেন এবং বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন এবং এ সম্পর্ককে আরো উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

টেলিফোনে আলাপকালে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী শিডিউল জটিলতার কারণে ঢাকায় আসতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং শিগগিরই সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

মোমেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশের সাথে সহযোগিতার জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement