২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

পরিশোধিত ভারতের পেট্রোলিয়ামকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা

পরিশোধিত ভারতের পেট্রোলিয়ামকে তালিকাভুক্ত করল ঢাকা -

বাংলাদেশ ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসেবে মনোনীত করতে সম্মত হয়েছে। বিষয়টি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তাই আপাতত এটিই ঘটতে যাচ্ছে। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আলোচনা ও সিদ্ধান্তের সংক্ষিপ্তসার হচ্ছে- বিষয়টি এমন কিছু যা কর্মকর্তারা তাদের নিজেদের মধ্যে কাজ করবেন।’

কোয়াত্রা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদি ভারত ও বাংলাদেশ উভয়কেই তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে সাহায্য করার জন্য দ্বিপক্ষীয় সীমানা আন্তঃসংযোগ স্থাপনে চলমান আলোচনাকে স্বাগত জানিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, তারা ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইনের অগ্রগতিও পর্যালোচনা করেন। এই প্রকল্পটি তারা অনুদানের মাধ্যমে গ্রহণ করছে। এটি ভারত থেকে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে উচ্চ গতির ডিজেল সরবরাহে সক্ষম করবে।

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এ প্রেক্ষাপটে আমরা ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পণ্যের সরকার থেকে সরকার (জি২জি) সরবরাহকারী হিসাবে মনোনীত করার বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। যা দুই দেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

প্রতিরক্ষা সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যতদূর মনে পড়ে প্রতিরক্ষা লাইন অব ক্রেডিটের অধীনে প্রথম চুক্তি এই সপ্তাহের শুরুতে স্বাক্ষরিত হয়েছিল। আমি নিশ্চিত যে আপনারা বিষয়টি ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করেছেন। এটি একটি সামান্য পরিমাণ হলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ ছিল।’

ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন যে এটি একটি প্রতিরক্ষা এলওসি হতে পারে তবে এটি উন্নয়ন অংশীদারি কাঠামোরও একটি অংশ।

তিনি আরো বলেন, ‘নিরাপত্তা এবং কৌশলগত সহযোগিতার অধীনে এটির অবতরণও রয়েছে। আমাদের প্রচেষ্টা হলো এটি প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে আরো সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে এবং আমাদের সহযোগিতাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।’

কোয়াত্রা বলেন, আলোচনার প্রধান উপাদানগুলোর মধ্যে একটি এবং আরো সহযোগিতার জন্য উভয় পক্ষের প্রচেষ্টার একটি প্রধান দিক হলো পণ্যের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের একটি স্থিতিস্থাপক সাপ্লাই চেন তৈরি করা। এই পণ্য পচনশীল ও অ-পচনশীল, বা প্রয়োজনীয় দ্রব্য, উভয় খাদ্য ও অখাদ্য হতে পারে। এই সমস্ত উপাদান ওই আলোচনার অংশ ছিল।

তিনি বলেন, দুই পক্ষই এই সাপ্লাই চেইনগুলোকে আরো শক্তিশালী করার ওপর জোর দিয়েছে এবং যতটা সম্ভব নিরবচ্ছিন্ন রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement