চীনের মানুষ পেলে বাংলাদেশীরাও খাবার পাবেন : রাষ্ট্রদূত
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২২:০৬, আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:১৮
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চীনে থাকা বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের খাবার না পাওয়ার অভিযোগ সঠিক নয়। চীনের মানুষ খাবার পেলে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও পাবেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় চীন সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ট্রাস্কফোর্স গঠন করেছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আসবে। ৬০ হাজার গবেষক এটার ওপর কাজ করছেন। করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা চীনের রয়েছে।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে করোনাভাইরাস ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের রাষ্ট্রদূত এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ-চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিসিআই) ও চীনের দূতাবাস যৌথভাবে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। মহামারি আকার ধারণ করার পর শুধু চীন নয়, পুরো বিশ্বই এটিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। ভাইরাস কারো পাসপোর্ট দেখে না। যে কোনো দেশেই এটি ঢুকতে পারে। তাই করোনাভাইরাস শুধু চীনের জন্য নয়, পুরো বিশ্ববাসীর শত্রু। আমরা এটির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে কর্মরত যেসব চীনা নাগরিক নিজ দেশে গিয়েছিলেন, তাদের আপাতত বাংলাদেশে ফেরত আসতে দেয়া হচ্ছে না। এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করেই। বাংলাদেশে কর্মরত অন্তত ১০ শতাংশ চীনা নাগরিক স্বদেশে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রকৌশলীও রয়েছেন। এদের অনেকেই চীনের সহায়তায় বাংলাদেশে বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পগুলোর সাথে যুক্ত।
লি জিমিং বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে গণমাধ্যম সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য প্রচার করলেই জনগণ করণীয় সম্পর্কে বুঝতে পারবে। এ জন্য সবক্ষেত্রে সচেতনতা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ভাইরাসে সংক্রামিত হয় মানুষ, পণ্য নয়। তাই এ ভাইরাসের জন্য চীন থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়া হলে সেটা দুঃখজনক হবে।
করোনাভাইরাস ইস্যুতে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যেভাবে চীনের পাশে আছে, সেজন্য ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।