বাংলাদেশের সীমান্তে ইসরাইলি ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত
- দ্য হিন্দু।
- ০৫ নভেম্বর ২০১৯, ০৭:০৭
বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি জোরদার করতে ইসরাইল থেকে কেনা ড্রোন ব্যবহার করছে ভারত। সে দেশের সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মধ্য দিয়ে আকাশপথের পাশাপাশি জল ও মাটির নিচ থেকেও বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে নজর রাখছে তারা। বিএসএফ সূত্রকে উদ্ধৃত করে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার ধুবড়ি সীমান্তে পাচার বন্ধ করতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তারা।
বাংলাদেশের সাথে ভারতের আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা এবং পশ্চিমবঙ্গসহ পাঁচটি রাজ্যের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। আসামের সাথে থাকা ২৬৩ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ১১৯.১ কিলোমিটার নদী অঞ্চল। এর মধ্যে পশ্চিম আসামের ধুবড়ি সেক্টরের ৬১ কিলোমিটার সীমান্ত; যেখানে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই স্থানে মানুষের জন্য নজরদারি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে বর্ষাকালে এই অংশে নজরদারি আরো কঠিন হয়ে পড়ে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ধুবড়ি সেক্টরে নজরদারির জন্য ইসরাইল থেকে অজ্ঞাতসংখ্যক টেদার ড্রোন কিনেছে বিএসএফ। প্রত্যেকটি ড্রোনের মূল্য ৩৭ লাখ রুপি। এগুলো ব্যবহার করে দিন-রাত সবসময়ই ভালো ছবি সংগ্রহ করা যায়। প্রায় ২ কিলোমিটার দূর থেকে এগুলো ব্যবহার করে সীমান্তে নজর রাখা সম্ভব। বিএসএফের গুহাটি ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল পিযুষ মোরদিয়া বলেন, ‘পাচারের মতো অপরাধগুলো সাধারণত রাতে সংঘটিত হয়। দৃষ্টিসীমার আড়ালে থাকা স্থানগুলোতে নজরদারি করাও বেশ কঠিন। তবে টেদার ড্রোনগুলো ১৫০ মিটার ওপর থেকে অব্যাহতভাবে ছবি তুলে পাঠাতে সক্ষম।
ফলে আমাদের নজরদারির ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতির সীমাবদ্ধতা অনেকটাই কমে গেছে।’ স্বাভাবিক ও টেদার ড্রোনের পার্থক্য নিয়ে বলতে গিয়ে পিযুষ বলেন, আগের ড্রোনগুলো ৩০ মিনিট পরই নামিয়ে আনতে হতো চার্জ করার জন্য। এ ছাড়া একটু ঝড়ো বাতাসেই উড়ে যেত সেগুলো। আর ধুবড়ি অঞ্চলে বাতাসও অনেক। মোরদিয়া বলেন, গরু ও মানবপাচারকারীরা টেদার ড্রোন শনাক্ত করতে পারবে। তবে তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটি বার্তা দেয়া, যেখানে সবাই জানবে যে দিন-রাত ওই অঞ্চলে নজরদারি চলছে।
ড্রোন ছাড়াও বিএসএফ থার্মাল ইমেজার মোতায়েন করেছে, যার মাধ্যমে মানুষ ও প্রাণীর শরীরের তাপমাত্রার মাধ্যমে তাদের চলাচল শনাক্ত করা যাবে। এ ছাড়া মাটি ও পানির নিচে বসানো হয়েছে সেন্সর। মোরদিয়া বলেন, পানির নিচের সেন্সরগুলো আমাদের এমন তথ্য দেবে, যা নৌকার মাধ্যমে টহল দেয়া ছাড়া সম্ভব নয়।
দ্য হিন্দু।