বান্দরবান সীমান্তে মিয়ানমার সেনা আটক
- বান্দরবান সংবাদদাতা
- ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৮:৫০, আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯, ০৯:৩৬
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির লেম্বুছড়ি সীমান্ত থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এক সদস্যকে আটক করেছে বিজিবি। গতকাল বিকেলে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরাফেরার সময়ে স্থানীয়রা তাকে আটক করে ভাল্লুক খাইয়া বিজিবি ক্যাম্পে সোপর্দ করেন। আটককৃত ওই সেনাসদস্যের নাম অং বো থিন। তার বাড়ি মিয়ানমারের ইয়াংগুনে। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ২৮৭ ব্যাটালিয়নের সদস্য বলে জানান। তাকে নাইক্ষ্যংছড়ি লেম্বুছড়ি সীমান্তের ওপারে বেন্ডুলা ক্যাম্পে সংযুক্ত করে দায়িত্ব দেয়া হয়।
কিন্তু দু’দিন আগে তিনি ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন তিনি। বর্তমানে আটকৃত সদস্যকে নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবির ১১ ব্যাটালিয়নে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বিজিবির কক্সবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল বায়েজিদ খান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি নিজেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্য বলে জানিয়েছেন। বেন্ডুলা ক্যাম্পে কাজ ভালো না লাগায় তিনি বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রাখাইনে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শন জাতিসঙ্ঘ দূতের
মিয়ানমার টাইমস
জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিন শ্রেনার বার্গেনার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের পাউকতো এলাকায় কয়েকটি উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছেন। গত বুধবার ওই শিবির পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গার কাছ থেকে তাদের দুঃসহ অভিজ্ঞতা আর উদ্বাস্তু শিবিরে বসবাসের কষ্টের কথা শোনেন বার্গেনার। ছয় বছর আগে রাখাইনে উগ্র বৌদ্ধদের হামলার শিকার হয়ে বাস্তুচ্যুত হওয়া রোহিঙ্গারা এ শিবিরে বসবাস করছেন।
২০১২ সালে মিয়ানমারে রাখাইন বৌদ্ধরা মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক হামলা চালালে দুই শতাধিক মানুষ নিহত হয়। এ সঙ্ঘাতে বাস্তুচ্যুত হয় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ। অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত এসব রোহিঙ্গার অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন রাখাইনের বিভিন্ন উদ্বাস্তু শিবিরে।
গত বুধবার প্রথমে বার্গেনার কাইন্নি পিন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। সেখানে আশ্রয় নেয়া এক উদ্বাস্তু জানান, তারা বার্গেনারকে তাদের কষ্টের কথা জানিয়েছেন। তারা বলেন, ‘২০১২ সালে আমরা এখানে আসি। এখানকার রাস্তাঘাট ও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো নয়। কোথাও যাওয়ার অধিকারও নেই আমাদের। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নিজেদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা ও সামাজিক সেবা পেতে আমাদের অনেক জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়।’