৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৫
`
প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি - ছবি : বাসস

বাংলাদেশে ব্যবসা-বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গৃহীত গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎকালে এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।

প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আমাদের ব্যবসা চালিয়ে যেতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। শুধু চালিয়েই যাব না, বরং আরো সম্প্রসারণ করব।’

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অংশীদার এবং আমার সরকার এই সম্পর্ককে আরো জোরালো করতে আগ্রহী।’

তিনি আরো বলেন, আমরা জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে গর্বিত, কারণ জাপান আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যে একটি এবং প্রধান উন্নয়ন অংশীদার। জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী, যা বহু বছর ধরে বাংলাদেশের সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে জাপান বাংলাদেশের শীর্ষ পাঁচ রফতানি গন্তব্যের একটি।

বাংলাদেশে বর্তমানে ৩৫০টিরও বেশি জাপানি কোম্পানি কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, বাংলাদেশ এখন জাপানসহ সার্ক ও আসিয়ানভুক্ত এবং পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমের দেশগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ খুঁজছে। তিনি বলেন, ‘আমরা পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের দেশগুলোর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। এখন ব্যবসা করার সময়।’

রাষ্ট্রদূত সাইদা শিনিচি জাপান সরকারের অর্থায়নপুষ্ট চলমান বড় বড় প্রকল্প বিশেষ করে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রো রেল এবং হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পে সহযোহিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেন।

অধ্যাপক ইউনূস রোহিঙ্গাদের জন্য জাপানের অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, টেকসই ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি স্থায়ী সমাধানে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।


আরো সংবাদ



premium cement