১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় প্রত্যাশিত অগ্রগতি নেই’

পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন - ছবি - ইন্টারনেট

রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে ভারত ও চীন কেন প্রত্যাশিত উপায়ে এগিয়ে আসছে না, এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন। এর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, শুধু বাংলাদেশ নয়, এই অঞ্চল এবং এর বাইরেও একটি সম্ভাব্য হুমকি রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আলোচনার প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই এবং আমি মনে করি না যে এটি (রোহিঙ্গা ইস্যু) খুব দ্রুত এবং সহজে সমাধান হতে যাচ্ছে।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিটি দেশেরই নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে এবং বাংলাদেশ পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।

আজ শনিবার ঢাকার একটি হোটেলে বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এতে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বাংলাদেশ বর্তমানে কক্সবাজার ও ভাসানচরে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিচ্ছে।

ভারত ও চীনের ভূমিকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তৌহিদ হোসেন জানান, তিনি কাউকে দোষ দিচ্ছেন না। কারণ সবাই নিজের স্বার্থ দেখে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কিন্তু এতে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের স্বার্থ এবং যার কারণে বিষয়টি দীর্ঘায়িত হয়েছে এবং প্রক্রিয়ার শেষে কোনো ফলাফল নেই বলে মনে হয় না।

তিনি বলেন, এই সমস্যার সমাধান না হলে এটি বাকি বিশ্বের জন্য একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।

তৌহিদ হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ তার প্রধান প্রতিবেশী দেশগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত মাত্রায় সমর্থন পায়নি।

তিনি বলেন, ‘গত আট বছরে আমরা প্রতিবেশী ও বড় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে যে পরিমাণ সহায়তা আশা করেছিলাম তা পাইনি।’

উপদেষ্টা বলেন, প্রশ্ন আসে, চীন কেন এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থেকে এগিয়ে আসছে না? কারণ, বঙ্গোপসাগরে চীনের প্রবেশাধিকারের জন্য মিয়ানমার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, একইভাবে ভারত মনে করে কালাদান প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ এবং এই প্রকল্পের জন্য মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থের আবর্তে আটকা পড়েছে।

রোহিঙ্গা তরুণদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ প্রসঙ্গে তৌহিদ হোসেন বলেন, তরুণ প্রজন্ম, যাদের ভবিষ্যতের কোনো আশা নেই, তারা অলস বসে বসে অন্যরা কী করছে তা দেখার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ‘একটা সময় আসবে যখন এটা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, আমাদের প্রতিবেশী ও দূরের মানুষের জন্যও মারাত্মক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।’

উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ছাড়াও বঙ্গোপসাগরে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও চীন।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি বিশ্বের অন্যান্য দেশে এবং এর সম্পদের জন্য সুবিধা দেয়।

বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন (বিওবিসি) ২০২৪-এর তৃতীয় সংস্করণ আয়োজন করেছে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস)। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মুনিরা খান ও সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।

জিল্লুর বলেন, বঙ্গোপসাগর সম্মেলনের তৃতীয় সংস্করণটি সিজিএস আয়োজিত এ যাবৎকালের সবচেয়ে বড় আয়োজন।

তিনি বলেন, এবারের সম্মেলন ‘এ ফ্র্যাকচারড ওয়ার্ল্ড’ বিশ্বের ৮০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২০০ জন বক্তা, ৩০০ প্রতিনিধি এবং ৮০০ অংশগ্রহণকারী শ্রোতাকে একত্রিত করেছে।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement
৯ ঘণ্টা ধরে বেক্সিমকো শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ পাকিস্তানকে হতাশ করে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জয় অস্ট্রেলিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে : রিজভী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্যের আহ্বান বদিউল আলমের হামলার শিকার মার্কিন রণতরী অনেকটা পালিয়ে বেড়াচ্ছে : হাউছি প্রধান ‘স্বৈরাচার সরকারের লোকজন শিক্ষিত হলেও নৈতিক জ্ঞান ছিল না’ পুলিশকে জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে : আইজিপি যুদ্ধাপরাধের জন্য ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান বোরেলের কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার আহত ও শহীদ পরিবারের বিষয়ে সরকারের উদাসীন থাকার সুযোগ নেই : সেলিম উদ্দিন দুই বছরের মধ্যে প্রথম ফোনালাপ করলেন পুতিন ও জার্মান চ্যান্সেলর

সকল