বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন দিতে আগ্রহী দক্ষিণ কোরিয়া
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪২
বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক বলেছেন, আরো বেশি বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে ‘ব্যবসাবান্ধব, প্রত্যাশিত ও স্থিতিশীল পরিবেশ’ উন্নয়ন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ঢাকার কোরিয়ান দূতাবাস বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাথে আরো আলোচনায় বসতে আগ্রহী।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো: জসিম উদ্দিনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন রাষ্ট্রদূত।
নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিবকে অভিনন্দন জানিয়ে পার্ক বলেন, তার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে আশা করছেন তারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি ইতিবাচক মন্তব্য এবং দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে সরকারের সক্ষমতার প্রতি আস্থা রাখার জন্য রাষ্ট্রদূত ও দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় সন্তোষ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে অন্যতম প্রধান বিদেশী বিনিয়োগকারী হওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশংসা করেন পররাষ্ট্র সচিব।
এছাড়াও এলডিসি ও এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট চুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার বাজারে বিপুলসংখ্যক বাংলাদেশী পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার প্রবেশাধিকার দেয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা মোকাবিলা এবং এর ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে টেকসই ও স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি সহজতর করার জন্য একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি সম্পাদনে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে দু’দেশ।
এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশী কর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়ায় রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্র সচিব।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কৃষি, মৎস্য, জাহাজ নির্মাণ এবং অন্যান্য সেবা খাতে শ্রমিকদের কাজের সুযোগ উন্মুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করবে।
ভবিষ্যতে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য কোরিয়ান স্কলারশিপের সংখ্যা বাড়ানোর অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব।
দু’দেশই আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখা, বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখা, মুক্ত বাণিজ্যের প্রসার এবং আন্তর্জাতিক ফোরামে একে অপরকে সমর্থন করার জন্য সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
সূত্র : ইউএনবি