২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসঙ্ঘের প্রধান কর্মকর্তাদের সাথে ঢাকার বৈঠক

- ছবি : বাসস

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো: তৌহিদ হোসেন চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট ও বৈশ্বিক অভিবাসন সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৯তম অধিবেশনের ফাঁকে নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন।

বুধবার এখানে প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মঙ্গলবার (নিউইয়র্ক সময়) মিয়ানমারে জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপের সাথে বৈঠকে বাংলাদেশের ওপর চাপানো একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বৈঠকে সঙ্কট মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলা হয়, এর মাধ্যমে সম্ভাব্য সমাধানগুলো খুঁজে বের করে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনকে সহজতর করতে পারে।

বৈঠকে ব্যাপক বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরিতে মিয়ানমারের ওপর অব্যাহত চাপের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।

উপদেষ্টা হোসেন জাতিসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা জনগণের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এমন একটি টেকসই সমাধান খুঁজতে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এক মিলিয়নেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের পরে এখানে এসেছে, যাকে জাতিসঙ্ঘ ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে এবং অন্যান্য অধিকার গোষ্ঠীগুলো এটিকে ‘গণহত্যা’ হিসাবে অভিহিত করেছে।

গত সাত বছরে একজন রোহিঙ্গাও দেশে ফেরত যায়নি। মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে, কিন্তু রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কারণে প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টা দুই বার ব্যর্থ হয়েছে।

একই দিনে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা হোসেন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপের সাথে পৃথক বৈঠক করেন।

এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুও ছিল রোহিঙ্গা সঙ্কট। উভয় পক্ষই বাস্তুচ্যুত মানুষের সুরক্ষা, মঙ্গল এবং অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর উপায়গুলো খুঁজে বের করার ওপর জোর দেন।

পোপ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর মাইগ্রেশন চ্যাম্পিয়ন হিসেবে বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পদ্ধতিতে অভিবাসন পরিচালনার জন্য দেশটির প্রচেষ্টার স্বীকৃতি দেন।

তিনি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে সৃষ্ট অভিবাসন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় চলমান প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য আইওএম-এর প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেন।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
‘ইরান আমার জীবনের জন্য বড় হুমকি’ : ট্রাম্প রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে যেসব প্রস্তাব রাখলেন ড. ইউনূস রুহুল আমিন গাজীর প্রতি নানা পেশাজীবীদের শেষ শ্রদ্ধা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে জাতিসঙ্ঘ দূতের সাথে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বৈঠক ভোটার তালিকা প্রস্তুত হলে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হবে শিল্প উপদেষ্টার সাথে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ১০টি গ্রিড-সংযুক্ত সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দরপত্র চাইতে পারে বিপিডিবি সমর্থন বজায় রাখতে জাতিসঙ্ঘ মঞ্চে জেলেনস্কি ইসরাইলি হামলায় লেবাননের একই পরিবারের ১১ সদস্য নিহত সাবেক শিল্পমন্ত্রীর রিমান্ড নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান ফিলিস্তিনে স্থায়ী শান্তি নিশ্চিতের উপায় : বাইডেন

সকল